ফারহানা নিশোর সঙ্গে ধর্ষকের সেলফি, যা বললেন ওমর সানি
একুশে টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে ফারহানা নিশোকে। গতকাল বুধবার (১৭ মে) সকালে প্রতিষ্ঠানের মানবসম্পদ বিভাগ থেকে তাকে বরখাস্তের একটি বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয় সব বিভাগীয় প্রধানের কাছে। কোম্পানি সচিব ও মানবসম্পদ প্রধান মো. আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত অফিসের নোটিশ বোর্ডেও ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
একুশে টিভিতে নেই ফারহানা নিশো এ খবরটি প্রকাশ হতে অনেকেই নানারকম সমালোচনায় লিপ্ত হয়ে পড়েন জনপ্রিয় এই তারকার চাকরি যাওয়া নিয়ে। বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সম্প্রতি আলোচিত বনানী ধর্ষণ ঘটনার আসামী নাঈম আশরাফের সঙ্গে সেলফি তোলায় তার সঙ্গে ফারহানা নিশোর ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে ধারণা করছে একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ। তাই তাকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফেসবুকেও অনেকে এ নিয়ে ফারহানা নিশোকে হেয় করে নানা পোস্ট, স্ট্যাটাস দিয়ে যাচ্ছেন।
যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অফিসের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয়ে ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বিরোধ চলছিল ফারহানা নিশোর। সেই জেরেই তাকে অব্যাহতি দিয়েছে একুশে টিভি। সম্পূর্ণ অমূলক একটি প্রসঙ্গ টেনে ফারহানা নিশোর বক্তব্য ছাড়াই তাকে ছোট করে সংবাদ প্রকাশ ও বিভিন্ন জনের মনগড়া ফেসবুকিংয়ের জন্য অনেকেই প্রতিবাদ করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
এ তালিকায় এলেন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা ওমর সানি। তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মে) নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘মানুষ বড়, মুচি সম্প্রদায় থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত যেকোনো মানুষের সাথে আমাদের ছবি এবং সেলফি থাকতে পারে। আমরা জানি না কে কি। আমার স্ত্রী (চিত্রনায়িকা মৌসুমী) একজন অভিনেত্রী, তার সাথেও ছবি থাকতে পারে। সে কিন্তু জানে না কে যৌনকর্মী কে ধর্ষণকারী কে জঙ্গি কিংবা ডাকাত বা হুজুর। আমরা যারা শিল্পী তাদের সব শ্রেণির ভক্ত থাকতে পারে। তাহলে একটা সেলফির কারণে ফারহানা নিশোর চাকরি যাবে কেন? এবং তার দোষ হবে কেন? খুব কাছ থেকে নিশোকে দেখেছি একুশে টিভির প্রতি তার টান।’
তিনি আরও লেখেন, ‘ব্যক্তিগত কারণে ইটিভির অনুষ্ঠান করা ছেড়ে দিয়েছিলাম। ফারহানার কারণে আমি আর মৌসুমী গিয়েছিলাম। ও, একটি কথা- ব্যক্তিগত দোষের কারণে যদি চাকরি যায় তাহলে আমার বলার কিছু নাই। সেলফির কারণে যদি দোষ দেন, তাহলে এরকম দোষে আমরা অনেক শিল্পীই দোষী। নিজেকে প্রশ্ন করুন। আপনি কি ধোয়া তুলসি পাতা?’
সবশেষে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওমর সানি লিখেছেন, ‘প্রতিটা ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
উল্লেখ্য, ফারহানা নিশো গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে একুশে টেলিভিশনে যোগ দেন। তখনই তার যোগদান নিয়ে চ্যানেলকর্মীদের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এর আগে চ্যানেল ওয়ান ও বৈশাখী টিভির কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান হিসেবেও কাজ করেছেন নিশো। ২০০৩ সালে এনটিভিতে সংবাদ উপস্থাপিকা হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু হলেও মাঝে গ্রামীণফোনের টেকনিক্যাল ডিভিশন ও ওয়ারিদ টেলিকমে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগেও কাজ করেন বেশ কিছুদিন।
এনই/এলএ