রাজ আদেশেই বাহুবলিকে হত্যা করেন কাটাপ্পা


প্রকাশিত: ১১:১৭ এএম, ০২ মে ২০১৭

মাহিশমতি সম্রাজ্যের বংশীয় গোলাম কাটাপ্পা। যুগ যুগ ধরে তার পরিবার সেই সিংহাসনের দাসত্ব করে আসছে। রাজ্যের রাজার আদেশই পালন করেন কাটাপ্পা। আর রাজ আদেশেই বাহুবলিকে হত্যা করেন তিনি। কিন্তু কেন?

২০১৫ সালে ‘বাহুবলি-১’ মুক্তির পর থেকেই এ বিষয়টি জানতে অধীর আগ্রহ ছিল বাহুবলির দর্শকদের। স্যোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। বাংলাদেশি দর্শকের মাঝেও উন্মাদনার সৃষ্টি হয়।

প্রথম ভাগের শেষ দৃশ্যে সেনাপতি কাটাপ্পা পেছন থেকে বাহুবলিকে তলোয়ার ঢুকিয়ে কেন হত্যা করে তা নিয়ে চলে ব্যাপক আলোচনা। বাহুবলিকে হত্যার সেই দৃশ্য ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সেরা দৃশ্যগুলির মধ্যে স্থান পায়।

‘বাহুবলি-২’ মুক্তির আগে পরিচালক এস এস রাজামৌলী হাস্যরস করে জানান, ‘আমি বলেছি জন্য কাটাপ্পা এমন করেছে!’ তবে দর্শক আগ্রহের আগুনে তা যেন কেরোসিনের কাজ করে। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই ‘বাহুবলি-২’ মুক্তির আগেই দর্শকরা রাতভর সিনেমা হলগুলোতে অপেক্ষা করে। এমনকি গণ্ডগোলও কম হয়নি।

দুই বছরের এ অপেক্ষার অবসান ঘটায় ‘বাহুবলি : দ্য কনক্লুশন।’ আর তাতে দেখা যায় রাজার আদেশেই অমরেন্দ্র বাহুবলিকে হত্যা করেন কাটাপ্পা। তার ছেলে মাহেন্দ্র বাহুবলির কাছে হত্যার ঘটনাটিই সবিস্তারে জানান তিনি।

‘বাহুবলি-২’ এর  দৃশ্য অনুযায়ী, রাজা বল্লাল দেব কুটচাল চেলে বাহুবলিকে হত্যার জন্য কাটাপ্পাকে আদেশ দেন। তা শুনে কাটাপ্পা রাজমাতা শিবাগামীর কাছে তার মত জানতে চান। ফিরিয়ে নিতে বলেন এই রাজ আদেশ। এ পাপ তিনি করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে রাজমাতার সম্মতি আছে কিনা জানতে চান।

বল্লালের কুটচাল না বুঝে রাগান্বিত শিবাগামী বলেন, বাহুবলিকে মরতেই হবে। এ কথা শুনে কাটাপ্পা নিজের তলোয়ার বের করে রাজমাতাকে বলেন, এ পাপ আমি করতে পারবো না। আপনি বরং আমাকেই হত্যা করুন।

জবাবে শিবাগামী বলেন, ‘তুমি হত্যা না করলে আমি নিজেই তাকে হত্যা করবো। কারণ, সে হত্যাযোগ্য অপরাধ করেছে।’ এবার কাটাপ্পা বলেন, না রাজমাতা এই পাপ আপনি করবেন না। আমিই এ কাজ করবো।

আর সেই রাজ আদেশেই বাহুবলিকে হত্যা করেন কাটাপ্পা। অন্তিম মুহূর্তে তার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজেকে হত্যার জন্য বাহুবলির কাছে সমর্পণও করেন।

এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।