টুঙ্গিপাড়ায় ধানের বাম্পার ফলন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট উদ্ভাবিত সরু বালাম ব্রি ধান ৬৩ ও ব্রি ধান ৫৮ জাতের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিজ উপজেলা টুঙ্গিপাড়ায় ব্রি ধান ৬৩ প্রতি হেক্টরে ৮.৪৮ টন উৎপাদিত হয়েছে। ব্রি-ধান ৫৮ জাতের ধানও হেক্টর প্রতি ৮ টন উৎপাদিত হবে বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন।
শুক্রবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ও পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত ধান ব্রি ৬৩ ও ব্রি ৫৮ জাতের বৈশিষ্ট, উৎপাদন কলাকৌশল বিষয়ক কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবসে ধান বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট মহাপরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রি-র পরিচালক প্রশাসন সাধারণ পরিচর্যা ড.মো. শাহজাহান কবির, ব্রি-র পরিচালক গবেষণা ড. মো. আনসার আলী, ব্রি-র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রজনন কর্মকর্তা ড. তমাল লতা আদিত্য, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি কৃষিবিদ অতুল কৃষ্ণ মলিক।
পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড.মো. আব্দুল জলিল মৃধার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্রি-র উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান তমাল লতা আদিত্য, ব্রির ভাঙ্গা অঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.মো. আমির হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস.এম মনিরুজ্জামান, ইউপি মেম্বর মো. আসলাম সরদার, কৃষক নাসির শেখ, মো. কামরুল ইসলামসহ আরো অনেকে।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী গ্রামের কৃষক মো. কামরুল শেখের জমিতে উৎপাদিত ব্রিধান ৬৩ ধান কেটে পরিমাপ করে ৮.৪৮ টন ফলন পাওয়া যায় বলে মাঠ দিবসে জানানো হয়।
কৃষক মো. কামরুল শেখ বলেন, ব্রিধান ৬৩ চিটা হয়না। ফলন অত্যন্ত ভাল। ধান উৎপাদনে সময় কম লাগে। বাজারে এ ধানের দাম ভাল পাওয়া যায়। আগামীতে আমাদের এলাকায় এ ধানের আবাদ বৃদ্ধি পাবে।
ব্রির গাজীপুরের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান তমাল লতা আদিত্য বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ গবেষণা করে আমরা এ ধান উদ্ভাবন করেছি। টুঙ্গিপাড়া এ ধান প্রদর্শনী প্লটে আবাদ করে বাম্পার ফলন পেয়েছি। ব্রি ধান ৫০ বাংলামতি ধানের চেয়ে ব্রিধান ৬৩ জাত ১.৪৮ টন বেশি ফলেছে। এ ধানের চাল দেশীয় বালামের মতোই। ব্রিধান ৫৮ ধানের ফলও আশানুরূপ হয়েছে। ব্রি ৫৮ জাতের ধান ব্রি ধান ২৮ জাতের ৭/১৫ দিন আগে কাটা যায়।
ব্রির ভাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. তোফায়েল হোসেন বলেন, এ ধান চাষ করে হাইব্রিডের মতোই ফলন পওয়া যায়। আপনারা এ ধানের বাড়তি যত্ন ও পরিচর্যা করলে বাম্পার ফলন পেয়ে লাভবান হবে।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারনের ডিডি কৃষিবিদ অতুল কৃষ্ণ মল্লিক বলেন, এ জাতের ধানকে বলা হয় ইনব্রিড। এ ধানের বীজ কৃষকই সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রতি কেজি বীজের দাম পড়ে মাত্র ৪০ টাকা। কিন্তু হাইব্রীড প্রতি কেজি বীজের দাম পড়ে দুইশো থেকে আড়াইশো টাকা। হাইব্রিড বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।
এমজেড/পিআর