শুটিং ফাঁসানোর কারণে বাদ পড়লেন সারিকা
মডেল অভিনেত্রী সারিকার বিরুদ্ধে শুটিং কিংবা শিডিউল ফাঁসানোর অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই অনেকের শিডিউল ফাঁসিয়েছেন তিনি।
মাঝে বিয়ে করে সংসারী হয়ে মিডিয়ায় কাজ ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের তিন বছরের মাথায় ডিভোর্স হয়ে যায়। তাই আবারও মিডিয়ায় ব্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ফিরতি যাত্রায়ও তার পুরনো অভ্যাস পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের কাজ করতে গিয়ে শুটিং ফাঁসিয়ে দিয়েছেন।
গত ৫ এপ্রিল থেকে মানিকগঞ্জে রাঙাপরি মেহেদির নামে একটি প্রসাধনী পণ্যের বিজ্ঞাপনের শুটিং করার কথা ছিল তার। সেদিন সকাল ৬টা থেকে শুটিং শুরু করার কথা থাকলেও আগেরদিন অর্থাৎ ৪ এপ্রিল রাত ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সারিকার মোবাইল বন্ধ ছিল।
উপায়ন্তর না দেখে বিজ্ঞাপনটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মুসলিম কসমেটিকস অ্যান্ড হারবাল কেয়ার বিপাকে পড়ে নিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সারিকাকে বাদ দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে কাস্ট করে। নির্দিষ্ট দিনে পূর্ণিমাকে নিয়েই শুটিং শুরু হয়।
এরপর সারিকা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ এনে স্ট্যাটাস দিয়ে সাধারণ মানুষের মতামত জানতে চান। এ বিষয়ে অনুসদ্ধান করে জানা গেছে, মূলত শুটিং ফাঁসানোর অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতেই সারিকা ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। কারণ ৪ এপ্রিল রাত ১টা ৪৩ মিনিটে তিনি মানিকগঞ্জে গিয়ে শুটিং স্পট খুঁজেছেন- এ মর্মে প্রযোজনা সংস্থার কর্ণধার মাসুম সরকারকে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দেন। ততক্ষণে প্রযোজনা সংস্থা তাদের সিদ্ধান্ত বদলে পূর্ণিমাকে কাস্ট করে ফেলেছেন বলে জানান, মাসুম সরকার। নিজের অপরাধের বিষয়টি ধামাচাপা দিতেই সারিকা ক্লায়েন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে মাসুম সরকার জাগো নিউজকে জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রোডাকশন থেকে কেউ যদি তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দিত তাহলে তিনি রাত পৌনে দুইটায় স্পটে গেলেন কেন? তার তো আগে থেকেই কাজটি ছেড়ে দেয়ার কথা! একজন শিল্পীর কাছ থেকে এমন অপেশাদার আচরণ মোটেও কাম্য নয়।’
বিজ্ঞাপনটিতে চিত্রনায়ক ইমনও অভিনয় করেছেন। তিনিও সারিকার শুটিং ফাঁসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘ক্লায়েন্ট শুটিংয়ের আগের দিন রাত দেড়টা পর্যন্ত সারিকাকে না পেয়ে তাদের সিদ্ধান্ত বদল করেছেন। অনৈতিক প্রস্তাবের কোনো কিছুই ইউনিটে ঘটেনি।’
এলএ/এমএস