ঈদের ব্যস্ততার ধুম লেগেছে শুটিং হাউজগুলোতে


প্রকাশিত: ১০:০৮ এএম, ০৪ এপ্রিল ২০১৭

নাটক-চলচ্চিত্র-বিজ্ঞাপন নির্মাণ করতে হলে শুটিং হাউজের প্রয়োজন বলে শেষ করা যাবে না। সারাবছরই রাজধানী ও এর আশপাশে শুটিং হাউজগুলোতে সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত কাজ চলে। তবে মাঝেমধ্যে মন্দার কারণে অনেক সময় শুটিং হাউজগুলো ফাঁকা থাকে।

বর্তমানে রাজধানী উত্তরায় ২৪টি, গাবতলি, আশুলিয়া, গাজীপুর মিলিয়ে মোট ৬৫টি নিবন্ধিত শুটিং হাউজ রয়েছে। এর বেশিরভাগ হাউজে মাসে ৩০ দিনই শুটিং হচ্ছে। জাগো নিউজকে এমনটাই জানালেন শুটিং হাউজ মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও স্বপ্নীল শুটিং হাউজের মালিক আবদুল আলিম।

তিনি বলেন, ‘দুই মাস পরই ঈদ। সেকারণে গত মাস থেকে শুটিং হাউজগুলোতে চাপ বেড়েছে। স্বপ্নীল ১,২, ৩ শুটিং হাউজ আমার। প্রতিটি হাউজে মার্চে ৩০ দিনই শুটিং হয়েছে। এই মাসে দুতিন দিন খালি আছে। আশা করছি তাও পূরণ হয়ে যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘রোজার ঈদের পর আবার কোরবানির ঈদ। তাই রোজা ঈদ শেষ হলেই আবার পরের ঈদের শুটিংয়ে নেমে পড়েন নির্মাতা। সবমিলিয়ে বছরে এটাই মৌসুম।’

তবে রাত ১১ টার পর শুটিং বন্ধ হওয়ায় কিছুটা ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শুটিং হাউজের মালিকরা। শুটিং হাউজ মালিক সমিতির এই নেতা আরও বলেন, ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়লেও কিছুটা নিয়মের মধ্যে এসেছে। এটা ভালো দিক।

যোগ করে বলেন, ‘নতুন সময় সীমা নির্ধারণের আজকাল অনেক নির্মাতা শুটিং হাউজ বাদ দিয়ে অন্যত্র শুটিং করেন। এর কারণ হচ্ছে, একটা এক ঘণ্টার নাটক বানাতে সময় লাগে দুই দিন। শিল্পীদের কল টাইম সকাল ৮ টা থাকলে সে আসে দুপুর ১ টায়। তাই নির্মাতাদের রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয়। কিন্তু ১১টার মধ্যেই হাউজগুলোতে শুটিং শেষ করতে হয়। এতে নির্মাতারা ক্ষতির মুখে পড়েন এবং সেটা কাটাতে শুটিং হাউজে শুটিং করেন না।’

এদিকে রাজধানীর উত্তরার লাবণী, আনন্দবাড়ি, স্ক্রিপ্ট হাউজ, হাতিরঝিলের প্রিয়াঙ্কা শুটিং হাউজেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই শুটিং হচ্ছে। চলছে ঈদের নাটক নির্মাণের কাজ।

এনই/এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।