মোহাম্মদপুরে গোসল শেষে মিজু আহমেদের মরদেহ যাবে হিমঘরে


প্রকাশিত: ০৪:৫১ পিএম, ২৭ মার্চ ২০১৭

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে থেকে অভিনেতা মিজু আহমেদের মরদেহ মোহাম্মদপুরে গোসলের জন্য নেয়া হচ্ছে। এরপর রাজধানীর যেকোনো একটি হিমঘরে তার মরদেহ রাখা হবে।

এমনটাই জানিয়েছেন শিল্পী সমিতি সহ-সভাপতি ওমর সানি। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, ‘মিজু ভাইয়ের বাসা রাজধানীর পান্থপথে। সেখানে আমরা গিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করবো কখন এফডিসিতে তার মরদেহ আনা হবে। এখন এর বেশিকিছু জানাতে পারছি না।’

মিজু আহমেদের মৃত্যুর খবর পেয়ে কুর্মিটোলায় জড়ো হয়েছেন ওমর সানি, মিশা সওদাগার, রিয়াজ, আমিন খানসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।

অভিনেতা রিয়াজ বলেন, ‘মৃত্যুর খবর পেয়েই আমরা হাসপাতালে ছুটে এসেছি। মিজু ভাই ছিলেন সজ্জন মানুষ। আজীবন তিনি চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে গেছেন। তার মৃত্যু আমাদের এবং চলচ্চিত্র শিল্পকে অনেক ক্ষতির মুখে ফেলে গেছে। আমি উনার আত্মার শান্তি কামনা করছি।’

অভিনেতা মিশা সওদাগর বলেন, ‘আমি প্রথমে কাজী হায়াত ভাইয়ের কাছে খবর পাই যে মিজু আহমেদ ভাই স্ট্রোক করেছেন। আমরা পথিমধ্যে মৃত্যুর খবর পাই।’

মিজু আহমেদের নাতি তানভীর বলেন, ‘কখন জানাজা হবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। তবে নানার মরেদেহ দাফন করা হবে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কোটবাড়ীতে।’

জানা গেছে, আজ দিনাজপুরের স্বপ্নপুরীতে নতুন একটি ছবির শুটিংয়ের জন্য একাই রওনা দেন মিজু আহমেদ। ট্রেনটি কমলাপুর থেকে রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ছেড়ে আসে। বিমানবন্দর স্টেশনের নিকট ট্রেন পৌঁছলে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। হাসপাতালে নেয়ার আগেই তিনি সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

জানা গেছে, আহমেদ ইলিয়াস ভুইয়া পরিচালিত ‘মানুষ কেন অমানুষ’ নামের একটি ছবির শুটিংয়ে দিনাজপুর যাচ্ছিলেন।

এনই/এলএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।