সালমান শাহ’র অপমৃত্যু, তদন্ত প্রতিবেদন ১০ জুন
অমর নায়ক সালমান শাহ’র অপমৃত্যু মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১০ জুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। রোববার ঢাকা মেট্রোপলিট্রন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ায়েজ কুরুনী এ দিন ধার্য করেন।
২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠায় আদালত। এরপর প্রায় ১২ বছরে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে ছিল। দীর্ঘদিন ধরে বাদীপক্ষ আদালতে সাক্ষ্য হাজির না করায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল বিলম্বিত হয়।
অবশেষে চলতি বছরের ৩ আগস্ট ঢাকার সিএমএম বিকাশ কুমার সাহার কাছে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ইমদাদুল হক। উক্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে অপমৃত্যু হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
মামলার বাদী সালমান শাহের বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী মারা যাওয়ায় গত বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রতিবেদনটির বিরুদ্ধে নারাজি দেবেন মর্মে আদালতকে জানিয়েছিলেন তার মা নীলা চৌধুরী।
এরপর এ বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি দিতে সময়ের আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেন সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ১০ ফেব্রুয়ারি নারাজি দাখিলের দিন আবারও নির্ধারণ করেন।
সালমান শাহ’র মায়ের নারাজির প্রেক্ষিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘটনাটি ফের তদন্তের জন্য র্যাবকে নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে আদালত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চলচ্চিত্র নায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার (ইমন) ওরফে সালমান শাহ। সে সময় এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছিলেন তার বাবা প্রয়াত কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। পরে ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে মামলাটিকে হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করার আবেদন জানান তিনি। এই প্রেক্ষিতে অপমৃত্যুর মামলার সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের বিষয়টি এক সঙ্গে তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন আদালত।
সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করে ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় সিআইডি। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে সালমান শাহের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে উক্ত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হয়। সিআইডি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখান করে তার বাবা কমর উদ্দিন আহমদ চৌধুরী রিভিশন মামলা দায়ের করেন।
এলএ/আরআই