সমালোচকরাও এখন পালকীর প্রশংসা করেন : ইমতু রাতিশ
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির জনপ্রিয় মেগা সিরিয়াল ‘পালকী’র ৪০০ তম পর্ব প্রচার হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মার্চ)। এই সিরিয়ালটি পরিচালনা করছেন মোস্তফা মনন। সিরিয়ালটির প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন শোবিজের পরিচিত মুখ, জনপ্রিয় উপস্থাপক কাম মডেল-অভিনেতা ইমতু রাতিশ।
‘পালকী’ সিরিয়াল নিয়ে যখন ইমতুর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি ছিলেন কক্সবাজারের সাগর পাড়ে। সেখান থেকে ইমতু জানালেন এই সিরিয়ালে কাজের অভিজ্ঞতা, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির হিসেব নিকেশ...
জাগো নিউজ : ‘পালকী’ সিরিয়ালের ৪০০ তম পর্ব প্রচার হতে যাচ্ছে। অনুভূতি জানতে চাই...
ইমতু : দেখতে দেখতে কখন যে এতগুলো পর্ব পেরিয়ে এলাম বুঝতেই পারছি না। আমাদের দেশে মেগা সিরিয়াল খুব একটা সাফল্য পায় না। প্রথমদিকে জনপ্রিয়তা থাকলেও একটা সময় সেটা থেমে যায়। কিন্তু ‘পালকীর’র ক্ষেত্রে দেখছি সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত সমানতালে দর্শক ধরে রাখতে পেরেছে ‘পালকী’। আর এই নাটকের চরিত্রটিতে প্রায় প্রতিদিনই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে হয়। তাই নিজেকেও ‘পালকী’র স্বামী মনে হয়। এই অনুভূতি দারুণ। অসাধারণ। অনেক প্রত্যাশা ছিলো। প্রাপ্তিও অনেক। তাই দায়িত্ববোধটা আরও অনেক বেড়েছে।
জাগো নিউজ : যখন ‘পালকী’ সিরিয়ালে অভিনয় শুরু করেছিলেন, তখন কি মনে হয়েছিল সিরিয়ালটি এতদূর আসতে পারবে?
ইমতু : কত পর্ব প্রচার হবে সেটা কখনও আলাদাভাবে ভাবিনি। আমি ভেবেছিলাম এটা একটা দারুণ সুযোগ। যেটা নতুন কনসেপ্ট নিয়ে বাংলাদেশে প্রথমবার যাত্রা শুরু করেছে। যার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আমি অভিনয় করছি। এটা ভেবে কাজটাকে ভালোবেসেছি। সবসময় সচেতনতাকে প্রাধান্য দিয়েছি। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই দীপ্ত টিভি ও ‘পালকী’ সিরিয়ালের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষদের। সবার আন্তরিকতাই ‘পালকী’ সাফল্যের এতোটা পথ পাড়ি দিতে পেরেছে।
জাগো নিউজ : ‘পালকী’-তে কাজ করার পর আপনার ক্যারিয়ারে কোনো বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করেছেন?
ইমতু : ‘পালকী’ আমার ক্যারিয়ারের মাইল ফলক। এটা আমাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই সিরিয়ালে কাজ করতে এসে অনেক কিছুই শিখেছি যেটা আমার অভিনয় ক্যারিয়ারে আগামীতে অনেক সহায়ক হবে। আমাকে আরও পূর্ণতা দেবে। কারণ, নিজের অভিনয়টা অনেক ভালো হয়েছে আগের থেকে। তাছাড়া আমি একুশে টিভির জনপ্রিয় ‘ইফতারের হাট’নামে একটা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করতাম। তার দ্বারা বহু পরিচিত পেয়েছি। যেটা রাস্তা ঘাটে বের হলে টের পেতাম। কিন্তু ‘পালকী’ নাটকে কাজ করার পর সেটা অনেক বেশি বেড়েছে। এখন রাস্তার একজন মুরগীওয়ালাও আমাকে দেখে বলেন, ‘ওই যে পালকীর সোহেল যায়!’ খুব ভালো লাগে।
জাগো নিউজ : এই সিরিয়ালে আপনার বিপরীতে ‘পালকী’ চরিত্রে ছিলেন স্নিগ্ধা মমিন। তার চলে যাওয়ায় কোনো ধরণের প্রভাব পড়েনি?
ইমতু : এখন গল্পে যে ধারাবাহিকতা ওখানে পালকী নেই। তাই প্রভাব বুঝার উপায় নেই। তবে স্নিগ্ধা মমিনের অনুপস্থিতি আমরা পুরো ইউনিট অনেক মিস করি। আগামীতে সে আবার ফিরবে কিনা সেটা নাটকের পরিচালক, সিরিয়াল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।
জাগো নিউজ : আপনার চরিত্রে আগামীতে কোনো চমক থাকবে?
ইমতু : অবশ্যই থাকবে। নানা ডায়মেনশন দেখতে পাবেন দর্শকরা। এনিয়ে কিছুদিন ধরেই বিস্তর গবেষণা করা হচ্ছে।
জাগো নিউজ : একটু শুকনো প্রসঙ্গ টানতে চাই। ‘পালকী’ প্রচারের পর অনেক সমালোচনার মুখে পড়ে। এখন অবস্থা কেমন চারপাশের?
ইমতু : ভালো কিছু হতে দেখলে অনেকেই সুযোগ না পেয়ে হিংসা বা ইর্ষায় সেটার পেছনে লেগে যায়। নানারকম নেতিবাচক কথা ছড়ায়। এসব আমরা গায়ে মাখিনি। সময় আজ অনেক কিছুই প্রমাণ করে দিয়েছে। ‘পালকী’ সাফল্য নিয়েই ৪০০ পর্ব প্রচার করতে যাচ্ছে। আজকাল সেদিনের সমালোচকরাও ‘পালকী’র সিরিয়ালের প্রশংসা করছেন। আমি মনে করি এটাই ‘পালকী’র শ্রেষ্ঠ অর্জনগুলোর মধ্যে একটি।
এনই/এলএ