মারিয়া এখন ওয়াও বেবি ওয়াও (দেখুন ছবিতে)
কক্সবাজারের দৃশ্যধারণ শেষ করে গত মঙ্গলবার ঢাকায় ফিরেছে আলোচিত ‘অবলা নারী ওয়াও বেবি ওয়াও’ ছবির পুরো টিম। সবার সাথে বিমানে করে ফিরলেন ছবিটির নায়িকা মারিয়া চৌধুরী।
গত ১৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা চলেছে এই ছবিটির শুটিং। গান ও মারামারির দৃশ্যসহ ছবির প্রায় বেশিরভাগ অংশের কাজ শেষ হয়েছে।
কক্সবাজারে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে ছবির নায়িকা মারিয়া জাগোনিউজকে বলেন, ‘খুব চমৎকার সময় কাটিয়েছি কক্সবাজারে। এই দিনগুলি সবসময় স্মৃতির পাতায় মধুমাখা হয়ে থাকবে। একে তো নিজের প্রথম ছবি, তার উপর সোহানুর রহমান সোহানের মতো পরিচালকের সাথে কাজ করা। প্রথমে অনেক নার্ভাস লাগতো। কিন্তু সোহান স্যার সব সামলে নিয়েছেন। উনি আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। এছাড়া ছবির পুরো টিম ছিলো অসাধারণ। সবাই অনেক সাহয্য করেছেন।’
উল্লেখ্য, ‘অবলা নারী ওয়াও বেবি ওয়াও’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন প্রখ্যাত চিত্র নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। এতে নতুন মুখ হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিষেক হচ্ছে মারিয়া চৌধুরীর। ছবিটিতে মারিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেছেন নবাগত ইমরান।
অবলা নারী ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, ডিজে সোহেল, ডন, ড্যানীরাজ, ওমরসানী, শ্রাবণ খান ও তানিয়া বৃষ্টি।
মারিয়া জানালেন, আগামী ২০ এপ্রিল থেকে ঢাকায় শুরু হবে ছবিটির পরবর্তী লটের শুটিং। এখানে ছবির বেশ কিছু গানের দৃশ্যধারণ করা হবে। পাশাপাশি শহরের কিছু দৃশ্যেরও শুটিং হবে। যেখানে অবলা নারীকে দেখা যাবে প্রতিবাদী রুপে। যার জন্যই ছবির নামকরণে যোগ হয়েছে ওয়াও বেবি ওয়াও।
তাই মারিয়াও এই কয়দিন বিশ্রামে থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওয়াও বেবি ওয়াও চরিত্রের জন্য।
প্রসঙ্গত, মারিয়া চৌধুরী ঢাকাতে বড় হলেও গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধায়। আর্মি বাবা আর গৃহিনী মায়ের দ্বিতীয় সন্তান তিনি। বড় ভাই পড়াশোনা করছেন একটি বেসরকারী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে। মারিয়া পড়ছেন উচ্চ মাধ্যমিকে।
মারিয়ার বয়স, অভিনয়ের ধরন ও চেহারা দেখে অনেকেই বলছেন সোহানুর রহমান সোহান বুঝি নতুন মৌসুমী উপহার দিতে যাচ্ছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে।
বলাবাহুল্য, ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ’র বিপরীতে সোহানুর রহমান সোহান মৌসুমীকে চলচ্চিত্রে নিয়ে আসেন। সেইসময়ের মৌসুমী ছিলেন সদ্য কিশোরী। অভিনয়গুণে তিনি আজ এ দেশের প্রথম সারির একজন চিত্রাভিনেত্রী।
মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত অ্যাকশন ও রোমিন্টক ধর্মী চলচ্চিত্রটির নায়িকা মারিয়ার প্রিয় অবিনেত্রী শাবনূর। তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন শাবনূরের মতোই বড় পর্দার রাজত্ব করবেন।
মারিয়ার জন্যও শুভকামনা।
এলএ/পিআর