সিস্টেমের অভাবে চলচ্চিত্র ধ্বংস হচ্ছে : খসরু


প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

চলচ্চিত্র যদি পাইরেসি না হতো এবং সিস্টেমের গ্যাঁড়াকলে না পড়তো তবে অবশ্যই বছর শেষে টাকা উঠে আসতো। এখন পাইরেসি কিছু কমে আসলেও সঠিক সিস্টেমের অভাবে বেড়ে ছবিতে লস হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে শিল্পটাই।

কথাগুলো বলছিলেন চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির নেতা খোরশেদ আলম খসরু। সোমবার দুপুরের এফডিসির জহির রায়হান রায়হান কালার ল্যাবে ‘নুরুমিয়া ও তার বিউটি ড্রাইভার’ ছবির সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য প্রদান কালে একথা বলেন।

জোর গলায় জনাব খসরু বলেন, ‘আমাদের দর্শকরা এখনও ছবি দেখেন। ভালো ছবি বানাতে পারলে অবশ্যই দেখেন। প্রযোজকরা শুধু সিস্টেমের গ্যাঁড়াকলে আটকে আছেন। আমরা যারা প্রযোজকরা আছি, এখানে সীমিত সংখ্যক লোক আমাদের আর্টিফিসিয়ালি লস করান। এর বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন করতে হবে।’

ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজকরা কোটি টাকা খরচ করে ছবি বানান, সেই ছবির লাভের অংশ দিতে হয় হলের যন্ত্রাংশর জন্য। কেন? আবার টিকিট থেকে কমিশন নেয়াও হয়। কিন্তু কেন?’

তিনি বলেন, ‘বিগত চার-পাঁচ বছর আগে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা চলচ্চিত্র নিয়ে একটি নাটিকা দেখিয়েছিলাম। তারপর তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন চলচ্চিত্রের পাইরেসি রোধ করার জন্য। এরপর প্রায় দুই বছর আমাদের কোনো ছবি পাইরেসি হয়নি। দেশনেত্রীর নির্দেশে আমাদের প্রশাসন একটিভ ছিল।’

অসংখ্য ব্যবসা সফল ছবির এই প্রয়োজক বলেন, ‘এখন আমাদের দরকার চলচ্চিত্রের সেন্ট্রাল সার্ভার। একইসঙ্গে যদি আমরা ফোর কে রেজুলেশনে ছবি বানিয়ে দর্শকদের সামনে দিতে পারি তবে ছবি দেখতে মানুষ হলে আসবে। আর এই ব্যবস্থাটা যদি আমাদের সরকার করে দেন তাহলে আবার সব ছবি ব্যবসা সফল হবে।’

খোরশেদ আলম বলেন, ‘ছয় হাজার কোটি টাকা বাজেটে ঢাকার অদূরে কবিরপুরে বঙ্গবন্ধু ফিল্মসিটি নির্মাণ হচ্ছে। আর এর সাথে যদি মাত্র পাঁচশ কোটি টাকা বাজেট নেয়া যায় তবে আমাদের সার্ভার এবং ফোর কে রেজুলেশনের কাজ হয়ে যাবে। আবার ফিল্ম সিটি বানিয়ে যদি সার্ভার না থাকে তাহলে ওই ছয় হাজার কোটি টাকার সুফল আমরা পাব না। তাই সবমিলিয়ে নতুন করে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে নতুন ডেমো দেব। এটা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে তাকে দেখানো হবে। দেখিয়ে আমরা ছয় হাজার কোটি টাকার সাথে আরও পাঁচশ কোটি টাকা যোগ করে নেব। তাহলেই আমাদের চলচ্চিত্র আর এই বেহাল দশায় থাকবে না।’

সরকার যদি ফিল্ম শিল্পকে বাঁচাতে এই উদ্যোগটা নেন তবে যেসব স্থানে সিনেমাহল ভেঙে শপিংমল তৈরি হয়েছে সেখানে শপিং মল ভেঙে আবার সিনেমা হল তৈরি হবে বলে মন্তব্য করেন এই প্রযোজক নেতা।
   
এনই/এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।