সেন্সর বোর্ডে অপেক্ষমান পপির ৮ ছবি
২০১২ সালে চিত্রনায়িকা পপি অভিনীত সর্বশেষ ছবি `গার্মেন্ট কন্যা` মুক্তি পায়। এরপর ২ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন কোনো ছবিতে দেখা যায়নি তাকে। বর্তমানে তার অভিনীত ৮টি ছবি ঝুলে আছে।
এর মধ্যে কয়েকটি ছবির শুটিং শেষ হয়েছে। কিন্তু সেন্সর বোর্ডে গিয়ে ছবিগুলো আটকে রয়েছে। আবার কয়েকটি ছবির শুটিং মাঝপথে থমকে আছে। এসব ছবির মধ্যে রয়েছে: কাজী হায়াতের `বিয়ে হলো বাসর হলো না`, নারগিস আক্তারের `পৌষ মাসের পিরিতি` ও `শর্টকাটে বড় লোক`, জাহিদ হোসেনের `লীলামন্থন`, কামরুজ্জামান রতনের `আদরের ভাই`, কামরুজ্জামান কামুর `দি ডিরেক্টর`, জাকির খানের `চার অক্ষরের ভালোবাসা` এবং সালমান হায়দারের `দেহ`। এর মধ্যে `পৌষ মাসের পিরিতি` এবং `শর্টকাটে বড় লোক`র কাজ অনেক আগেই শেষ করেছেন পপি। কিন্তু ছবি দুটি কেন মুক্তি পাচ্ছে না, তা তিনি নিজেও জানেন না। অন্যদিকে ছাড়পত্রের জন্য সেন্সরবোর্ডে আটকে রয়েছে `আদরের ভাই`, `লীলামন্থন` এবং `দি ডিরেক্টর`। `বিয়ে হলো বাসর হলো না` ও `চার অক্ষরের ভালোবাসা` ছবি দুটি মুক্তি পাবে পাবে বলে পাচ্ছে না। তাছাড়া দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও `দেহ` ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে না।
সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, পপির ক্যারিয়ারে যেন শনির কোপ পড়েছে। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হলে এ বছরই তার তিন-চারটি ছবি মুক্তি পেত পারত। আর এর মধ্যে দু-একটি সফল হলেই নতুন ছবির প্রস্তাব পেতে পারতেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রীর দিনগুলো অনেকটা হতাশা ও শঙ্কার মধ্যে দিয়েই কাটছে। এ প্রসঙ্গে পপি জানান, বর্তমানে তিনি ঘরে বসেই দিনপার করছেন। মাঝেমধ্যে দু-একটি ছবির প্রস্তাবও পাচ্ছেন। কিন্তু গল্প-চরিত্র পছন্দ না হওয়ায় তাতে অভিনয়ে মন টানছে না।
১৯৯৬ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত `কুলি` ছবির মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে নাম লিখিয়েছিলেন পপি। চলচ্চিত্রে দীর্ঘ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে প্রায় শ-খানেক ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। তার অভিনীত অধিকাংশ ছবিই জনপ্রিয়তার খাতায় নাম লিখিয়েছে। তাছাড়া চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের জন্য ইতোমধ্যেই তিনি তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ছবিগুলো হচ্ছে: কালাম কায়সারের `কারাগার`, নার্গিস আকতারের `মেঘের কোলে রোদ` এবং অহিদুজ্জামান ডায়মন্ডের `গঙ্গাযাত্রা`।