ডিভোর্সে আলোচিত তারকারা


প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ০৫ এপ্রিল ২০১৫

প্রেমের হয়তো অনেক ব্যাখ্যা থাকবে। থাকবে বিশ্লেষণ। তবে একথাই সবার আগে-বিয়ে করবে বলেই মন হারায় নারী পুরুষ। কপোত-কপোতির মতো উড়ে বেড়ানো সম্পর্ক গড়ায় দায়িত্ব আর বিশ্বাসে। ভালোবেসে ঘর বাঁধে সারাজীবন পাশাপাশি থাকবার আশায়। কিন্তু সবাই যেমন প্রেমে ঘর বাঁধতে পারেন না, তেমনি কেউ কেউ বিয়ে করেও প্রেম ধরে রাখতে পারেন না। মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝির হাত ধরে নেমে আসে আলাদা হয়ে যাবার অভিশাপ। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো নন তারকারা। তাই তাদের দাম্পত্যে যখন ভাঙ্গন আসে, সেটি হয় গরম খবর। তেমনি ডিভোর্সে গিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন বেশ ক’জন বলিউড তারকা। তাদের নিয়ে বিশেষ এই আয়োজন-

পূজা ভাট ও মনিশ মাখিজা
বলিউডের সবচেয়ে অবাক করা এবং অপ্রত্যাশিত ডিভোর্স ছিলো সম্ভবত এটিই। প্রায় দীর্ঘ ১১ বছরের সম্পর্ক ইতি টানলেন মহেশ ভাটের জৈষ্ঠ কন্যা পূজা ভাট। নিজেদের ছাড়াছাড়ি সম্বন্ধে পূজা টুইটারে এক বিবৃতিতে জানান ‘কোন সম্পর্কের সফলতা লাইন্সেসের উপর নির্ভর করেনা, আমি আমার মতো জীবন যাপন করতে চাই। কারো ইচ্ছা পূরণের জন্যে নয়।’



আমির-রিনা
রিনা দত্ত আমির খানের শৈশবের প্রেমিকা ছিলেন। আমির খানের পিছনে সব সময় ছায়ার মতো থাকতেন তিনি। দুজনের প্রেম এক সময় বিবাহ পর্যন্ত গড়ায়। দীর্ঘ পনেরো বছরের বিবাহিত জীবনে দুটি সন্তানও আছে তাদের। তারপর ১৫ বছরের সম্পর্কেও ফাটল ধরে এবং দুজন আলাদা হয়ে যান।



সাইফ-অমৃতা
সাইফ আলী খান ও অমৃতা সিং প্রেমে পড়েন এবং খুব দ্রুতই গাঁটছাট বেধে ফেলেন। দুজনের বয়সের ব্যাবধান ছিলো প্রায় ১২ বছরের। প্রায় ১৩ বছরের বৈবাহিক সম্পর্কের ইতি ঘটে ডিভোর্সের মাধ্যমে।



হৃত্বিক-সুশান
বলা হতো বলিউডের শ্রেষ্ঠ দম্পত্তি তারা। ছিলো দুটি ফুটফুটে সন্তানও। তাদের প্রেম কাহিনী ছিলো সবার মুখে মুখে। কিন্ত ২০১৩’র শেষদিকে এসে হঠাৎ করেই দুজন ডিভর্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলাদা হয়ে যান।



শাশা আগা ও শচীন গুপ্ত
বলিউড অভিনেত্রী শাশা আগা ও সঙ্গীত শিল্পী শচীন গুপ্তের সম্পর্কের ইতি ঘটেছে একদম ট্রাজেডীয় গল্পের শেষটার মতো। শাশা অনেকটা মায়ের অমতেই বিয়ে করেছিলেন শিল্পী শচীন গুপ্তকে। বিয়ের কিছুদিন পরই শাশা দুবাই পাড়ি জমান এবং সংবাদ মাধ্যমে ডিভোর্সের খবর চড়াও হতে থাকে। অবশ্য শচীন বরাবরই এসব খবরকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু শাশা এ নিয়ে প্রতিবাদও করেননি, আবার সমর্থনও জানাননি।



জেনিফার-করন সিং
জেনিফার এবং করন সিং-এর আলাদা হওয়ার ব্যাপারটিও ভক্তদের ব্যাথিত করেছিলো। করন সিংয়ের করা একটি টুইটার পোষ্ট থেকে এই ডিভোর্সের কথা জানা গিয়েছিলো। নিজের টুইটার পোষ্টটিতে করন সিং জানান, ‘আমরা দুজনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আলাদা থাকবো। আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্তটি একান্তই আমাদের ব্যাক্তিগত।’

প্রিয়দর্শন-লিসসি
দীর্ঘ চব্বিশ বছরের বিবাহিত জীবনের হঠাৎ করেই ইতি টানলেন প্রিয়দর্শন এবং তার স্ত্রী লিসসি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতিতে লিসসি জানান, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, আমরা (প্রিয়দর্শন এবং লিসসি) আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের সন্তান এবং বন্ধুরা অবগত রয়েছে।’ অবশ্য ডিভোর্সের নোটিশে প্রিয়দর্শন থেকে ৮০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের দাবিটিকে উড়িয়ে দিয়েছেন লিসসি।

রাহুল রয়-রাজলক্ষী
‘আশিকী’ ছবি দিয়ে আলোচনায় আসা রাহুল রয় এবং তার স্ত্রী রাজলক্ষী আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুজনের প্রায় ১৪ বছর সাংসারিক জীবন ছিলো। হঠাৎ তাদের এই ডিভোর্সে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই।



কারিশমা-সঞ্জয়
কারিশমা কাপুর অভিষেকের সাথে ব্যর্থ প্রণয়ের পর পরই সুখের আশায় ঘর বেধেছিলেন সঞ্জয় কাপূরের সাথে। ভালোই চলছিলো দুজনের দাম্পত্য জীবন। কিন্তু দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পরই দুজন আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ধারনা করা হয় যে, সঞ্জয়ের পরকীয়া প্রেমই ডিভোর্সের মূল কারণ।

চিত্রাঙ্গদা-জ্যোতি সিং
চিত্রাঙ্গদা সিং এবং ক্রীড়াজগতের মানুষ জ্যোতি সিং রান্ধাভ এর প্রেম করে ঘর বেঁধেছেন। বেশ ভালোই। বিয়ের পর তাদের একটি ছেলেও ছিলো। হঠাৎ করেই ২০১৪ এর শেষ দিকে এসে দুজনের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলো। জানা গেছে চিত্রাঙ্গদা তার ক্যারিয়ায়ের ব্যাস্ততা নিয়ে ভালোই আছেন।

আরএএইচ/এলএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।