আমি ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি : মাহি


প্রকাশিত: ১১:৫২ এএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মাহিয়া মাহি! ঢাকাই ছবিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল ও সফল নায়িকার নাম। গেল দুই বছর ধরেই তাকে বিশেষায়িত করা হয় ঢালিউডের শীর্ষ নায়িকা হিসেবে। ২০১২ সালে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে‌ ‘ভালবাসার রং’ ছবি দিয়ে। প্রথম ছবি দিয়েই তিনি বাজিমাত করেন। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। নিজের অভিনয় গুণে, নাচের তালে, হাসির মায়ায় মুগ্ধ করেই চলেছেন চলচ্চিত্রপ্রেমীদের। নামের শেষে যোগ করেছেন ‘পোড়ামন’, ‘অগ্নি’, ‘অগ্নি ২’, ‘রোমিও জুলিয়েট’, ‘ভালোবাসা আজকাল’, ‘অনেক সাধের ময়না’, ‘দেশা-দ্য লিডার’র মতো ছবি। আর হুমায়ূন আহমেদের গল্পে মেহের আফরোজ শাওনের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিতে রিয়াজের বিপরীতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন মাহি। পেয়েছেন অন্যরকম গ্রহণযোগ্যতা। রাজশাহীতে জন্ম নেয়া মাহি গেল বছর বিয়ে করেছেন সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ অপুকে। সংসার আর চলচ্চিত্র- দক্ষ হাতে সমানতালেই ধরেছেন দুই সাম্পানের হাল।

বর্তমানে মাহি আছেন মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে। সেখানে মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় চিত্রনায়ক সাইমন সাদিকের বিপরীতে ‘জান্নাত’ নামের একটি ছবিতে কাজ করছেন। সেখানেই জাগো নিউজের সঙ্গে আড্ডায় মেতে উঠলেন এই নায়িকা। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরেছেন লিমন আহমেদ

জাগো নিউজ : বলা হয় ঢাকাই ছবিতে বর্তমানে শাকিব খানের পর একমাত্র মাহিয়া মাহির নামেই ছবি চলে। বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখেন?
মাহি : একজন নায়িকা বা অভিনেত্রী হিসেবে এ ধরনের কথা শুনতে ভালোই লাগে। কাজের অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়। তবে সত্যিই আমার নামে ছবি চলে কি না আমি জানি না। এটা ভালো বলতে পারবে কাকরাইল পাড়ার মানুষেরা, বলতে পারবেন আপনারা সাংবাদিকরা। আমি কেবল শুরু থেকেই চেষ্টা করে যাচ্ছি চলচ্চিত্রে থিতু হওয়ার।

জাগো নিউজ : সেজন্যই কী নামসর্বস্ব ছবিগুলোতে বেশি দেখা যায় আপনাকে? যেমন অগ্নি, অগ্নি-২, অনেক সাধের ময়না। এবার করতে যাচ্ছেন ময়না। পাশাপাশি শোনা যায় নায়কপ্রধান ছবি হলে আপনি এড়িয়ে যান। সত্যি?
মাহি : প্রত্যেকেই চায় নিজেকে আলাদা করতে। আমিও চাই। একটা ছবি যখন আমার চরিত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয় এর যেমন আনন্দ আছে তেমনি কিন্তু ঝুঁকিও আছে। যেমন ধরুন ময়না ছবিটি আমি করতে যাচ্ছি। যদি ছবিটি ফ্লপ খায় আমার সুনাম কিন্তু বেশি ক্ষতির মুখে পড়বে। কারণ সবাই বলবে মাহির ‘ময়না’ চলেনি। কেউ কিন্তু নায়কের নাম নেবে না। আমি ঝুঁকি নিতে পছন্দ করি। আর নায়কপ্রধান ছবিতে কাজ করতে চাই না এটা ঠিক নয়। চরিত্র ভালো ও মনে দাগ কাটার মতো হলে অবশ্যই করি। তার প্রমাণও আছে কিন্তু।

জাগো নিউজ : তবে বলুন ‘মাহিয়া মাহিয়া’ শিরোনামের গানটি আপনাকে কেমন অনুভূতি দেয়। নিজের নামে জনপ্রিয় গান। সবখানে বাজছে। নিশ্চয়ই দারুণ লাগে?
মাহি : একটা ভালো লাগা তো কাজ করেই। তবে আমার হাসি পায়। আমার নাম ধরে লোকজন গান করছে ব্যাপারটা কেমন জানি লাগে। হা হা হা.... তবে এটা ঠিক দর্শক আমাকে পছন্দ করেন বলেই আমার নামের গানটি শোনেন। এটাই আমার সাফল্য। যদিও ‘মাহিয়া মাহিয়া’ শব্দটি ইউনিক কিছু নয়। হিন্দিতে অনেক গান আছে এই মাহিয়া মাহিয়া করে। বিরক্তিও লাগে মাঝে মাঝে!  

জাগো নিউজ : আপনার সময় জ্ঞান ও বিনয়ের অনেক প্রশংসা হয় সবখানেই। আবারও তারই প্রমাণ দিলেন। এবার বলবেন, ঠিক কোন শ্রেণির মানুষের কাছে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেশি বলে আপনি মনে করেন?
মাহি : আমি বৈচিত্র্যময় গল্পে নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করেছি। তবে জনপ্রিয়তা যা পেয়েছি গ্রামাঞ্চলেই বেশি মনে হয়। প্রেমের ছবিগুলোর জন্য গ্রামের মানুষের কাছে আমার পরিচিতি বা গ্রহণযোগ্যতা বেশি। ‘পোড়ামন’ ছবিটি আমাকে রাতারাতি গ্রামীণ দর্শকদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল। আর জানেন তো, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে বড় পৃষ্ঠপোষক কিন্তু গ্রামীণ দর্শকরাই। তাছাড়া শহুরে মানুষেরা একটা সময় তো বাংলা ছবির নাম শুনলেই নাক সিঁটকাতেন। এখন অবশ্য নির্মাণে মুন্সিয়ানা ও গল্পে ভ্যারিয়েশন আসায় নগরের মানুষরাও বাংলা ছবি দেখেন। যেমন ‘কৃষ্ণপক্ষ’ ছবিটি করে শহুরে দর্শকের রেসপন্স পেয়েছি প্রচুর।

জাগো নিউজ : বিয়ে হলে নায়িকাদের বাজার পড়ে যায়। অনেক পুরনো কথা চলচ্চিত্রের। কিন্তু বিয়ের পর দেখা গেল মাহিয়া মাহি আরও বেশি ব্যস্ত হয়ে গেছেন। তার হাতে ছবিও অনেক বেশি। এর রহস্য কী?
মাহি : হা হা হা হা.... হতে পারে এটা একটা রহস্য। কিন্তু আমি নিজেও জানি না রহস্যটা কী। বিয়ের পর অনেকে আমাকেও বলেছিল কেন এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিলাম অল্প দিনের ক্যারিয়ারে। সব সম্ভাবনার অপমৃত্যু হবে। সব শুনে শুনে আমিও ভেঙে পড়েছিলাম। মনে মনে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম চলচ্চিত্র ছেড়ে দেয়ার। কিন্তু আল্লাহর রহমত ও দর্শকের ভালোবাসার জন্য অদ্ভুতভাবে লক্ষ করলাম বিয়ের পর নায়িকা হিসেবে আমার চাহিদাই বলুন বা কদরই বলুন- বেড়েছে। আমি খুব হ্যাপি যে, পুরনো প্রবাদটি মিথ্যা করে দিয়ে এখনো কাজ করতে পারছি। আর ব্যক্তিগত জীবন সবারই থাকে। দর্শকদের মানসিকতা বদলেছে। তারা তারকাদের প্রেম-বিয়েকে এখন স্বাভাবিকভাবেই নেন। তাই মনে হয় কোনো সমস্যা হয়নি। আর পরিবার থেকেও কোনো রকম ঝামেলা নেই আমার কাজ করার ক্ষেত্রে।

জাগো নিউজ : বর্তমানে ‘জান্নাত’ ছবিতে কাজ করছেন। এখানে আপনার জুটি ‘পোড়ামন’র নায়ক সাইমনের সঙ্গে। তার সঙ্গে আরো একটি ছবিতে কাজ করছেন ‘গোলাপতলীর কাজল’ নামে। কিন্তু মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় এই প্রথমবার কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
মাহি : এখন পর্যন্ত অনেক বড় বাজেটের ছবিতে নামি নির্মাতাদের সঙ্গে কাজ করেছি। কিন্ত আমি অকপটে বলতে চাই, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের পরিচালনায় কাজ না করলে একটা আফসোস হয়তো আমার থেকেই যেত। এত গোছানো, পরিচ্ছন্ন, নিখুঁত নির্মাণের চেষ্টা আমি আর কোনো পরিচালকের মধ্যে পাইনি। মানিক ভাই এতোটাই সহযোগী আর ভদ্র মানুষ, সবসময়ই আমি প্রেসারে থাকি এই ভেবে যে, আমার কোনো আচরণ বা কাজে তিনি কষ্ট পাচ্ছেন কি না। তার টিমের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না। আমি চিরদিন ‘জান্নাত’ ছবির শুটিংয়ের কথা মনে রাখবো।

জাগো নিউজ : ছবিটিতে কী এমন বিশেষত্ব আছে বলে মনে হয় আপনার, যা দর্শককে হলে টানবে?
মাহি : অনেক কিছুই আছে। এখানে সুন্দর নিটোল একটি প্রেমের গল্প আছে, যা দেখলে মনে মনে দর্শক নিজেকে অনায়াসেই মিলিয়ে ফেলবেন। সফল ছবির এটা একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য। রঙিন আর প্রাণবন্ত প্রেম যুগল হিসেবে আমি ও সাইমন হাজির হবো। বেশ কিছু মিষ্টি সুরের গান আছে। আমার বারবার মনে হচ্ছে সাফল্যের দিক থেকে হয়তো ‘পোড়ামন’ ছবিকেও ছাপিয়ে যাবে ‘জান্নাত’। দর্শক মুগ্ধ হবেন।

Mahi
জাগো নিউজ : আপনার প্রিয় নায়ক কারা?

মাহি : সোনালি দিনে সব নায়কই আমার পছন্দের। ছোটবেলা থেকে তাদের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়েছি। আর আমার প্রজন্মে বা আমার নায়কদের মধ্যে প্রথমেই আমি বলবো বাপ্পীর নাম। ওর নায়িকা হয়েই আমার চলচ্চিত্র যাত্রা শুরু। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। বাপ্পীর সঙ্গে কাজ করতে গেলে কোনো সমস্যায় ভুগতে হয় না। দুজনই কথা বলে সব ঠিক করে নেই। এরপরই আমি সাইমনের নাম আনবো। খুব ভালো আর পরিশ্রমী একজন অভিনেতা। ওর বড় গুণ খুব সহজেই মানুষকে আপন করতে পারে ও। আর সফল নায়ক হতে গেলে সৌভাগ্যটা খুব বেশি প্রয়োজন। সাইমনের সেটি আছে।

জাগো নিউজ : প্রিয় নায়িকা....
মাহি : আমি সিনিয়রদের কাজ দেখে শিখি। সেই সুবাদে প্রায় সব নায়িকাদেরকেই আমি দারুণ পছন্দ করি। আর আমার সমসাময়িক নায়িকাদের কথা বললে পরীমনি আমার খুব পছন্দের। অদ্ভুত সুন্দরী একটা মেয়ে! মুগ্ধ না হয়ে পারা যায় না। আর অভিনয়ের জায়গা থেকে সারা জেরিন নামের একজন আছেন, তার অভিনয়ে মুগ্ধ আমি। সারা আমার প্রথম ছবি ‘ভালবাসার রঙ’- এ কাজ করেছিল। সেখানে তার সাবলীল অভিনয় দেখেছিলাম। ও এখন আর নিয়মিত কাজ করে না। আমার মনে হয় ওর মতো অভিনেত্রী আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে ভীষণ প্রয়োজন।

জাগো নিউজ : মাহি, পরীমনিদের মতো সুন্দরী আর জনপ্রিয় নায়িকারা থাকতে ইন্ডাস্ট্রিতে হুট করে কলকাতার নায়িকাদের আনাগোনা বাড়ছে। দেশীয় নায়িকাদের ক্যারিয়ারের জন্য কী বিষয় হুমকিস্বরূপ?
মাহি : আমার মনে হয় না এটা হুমকির। কারণ অনেক আগে থেকেই আমাদের এখানে ওইসব নায়িকার জনপ্রিয়তা। নতুন করে জায়গা দখলের আর কিছু নেই। ভালো ছবি হলে নায়ক-নায়িকা যেই হোক মানুষ দেখবে। যারা মাহিকে দেখতে চায় তারা অন্য নায়িকা পেয়ে আমাকে ভুলে যাবে না। তবে যেহেতু দেশের বাইরের শিল্পী তাই সব নিয়ম-কানুন ও দেশের স্বার্থটাকে প্রাধান্য দিতে হবে।

জাগো নিউজ : তারকারা ব্যস্ত জীবন কাটান। ভক্তরা তাই তাদের অবসর সময় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। আপনি অবসরে কী করেন?
মাহি : পরিবারকে সময় দেই। শ্বশুরবাড়ি থাকলে শাশুড়িকে রান্নাবান্নায় সাহায্য করি। অবশ্য সবসময় না, যখন ইচ্ছা করে সবাইকে রেঁধে খাওয়াতে। সিনেমা দেখাও আমার খুব প্রিয়। আর গান শুনি। প্রচুর গান শুনি আমি। আমার প্রিয় গান- ‘আগুনের দিন শেষ হবে একদিন’। সুযোগ হলে ঘুরতেও যাই।

জাগো নিউজ : প্রায়ই দেখা যায় লং ড্রাইভে যান আপনি। স্বামীকে নিয়ে লং ড্রাইভের কোনো মজার স্মৃতি?
মাহি : অপুকে নিয়ে আমি তেমন করে উল্লেখ করার মতো কোনো লং ড্রাইভে যাইনি। তবে বন্ধুদের নিয়ে বহুবার গিয়েছি। অনেক মজা করি তখন।

জাগো নিউজ : হুটহাট আপনাকে কবিতা লেখতে দেখা যায়। বই করার ইচ্ছা নাকি?
মাহি : আরে না না। আমি নিতান্তই শখের বশে লিখি। এসব আবার কবিতা হয় নাকি! মনের পাগলামি এগুলো। তবে কবিতা পড়ি আমি, অনেক। বই করার ইচ্ছা নেই।

জাগো নিউজ : সামনে ভ্যালেন্টাই ডে। ভক্তরা মাহির প্রেম বা ভ্যালেন্টাইন নিয়ে অনেক কিছু জানতে চায়। কিছু বলুন-
মাহি : আমার ভ্যালেন্টাইন বলুন আর যাই বলুন সবই আমার স্বামী অপু। ওকে ঘিরেই আমার ভালো লাগা, ভালোবাসার সুখের জগৎ। তবে ভক্তদের জন্য একটা মজার গল্প বলা যায়। আমার এক আত্মীয় ছোটবেলা থেকে আমাকে পছন্দ করতেন। তার কোলে চড়েছি আমি। খুব আদর করতেন। যখন বড় হলাম জানতে পারলাম তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। এটা জেনে মজাও পেয়েছি এবং আমার ওপর প্রথম ক্র্যাশ খাওয়া বেচারা প্রেমিকের জন্য মায়াও লেগেছিল।

Symon-Mahi
জাগো নিউজ : চলচ্চিত্র, ক্যারিয়ার ও ব্যক্তি জীবন নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

মাহি : পরিকল্পনা করে আসলে কিছু হয় না। যা হওয়ার তাই হবে। আমি কেবল কিছু কাজ করে যেতে চাই। সবাই যেন মনে রাখে যে মাহি নামে ইন্ডাস্ট্রিতে একজন নায়িকা ছিল।

জাগো নিউজ : শেষবেলায় আপনার এই মুহূর্তে কাজ করা ছবিগুলোর বিষয়ে বলুন-
মাহি : আমি এ মুহূর্তে ‌‘জান্নাত’ ছবিতে কাজ করছি। শেষ হয়েছে ‘ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির শুটিং। কাজ করছি ‘গোলাপতলীর কাজল’ ছবিতে। ছবিটির অনেকাংশের কাজ শেষ। শিগগিরই শুরু করবো ‘প্রেমের বাঁধন’ নামের একটি ছবি। মেহের আফরোজ শাওন আপার আরও একটি ছবি ‘নক্ষত্রের রাত’ও শুরু হবে। সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছি ভার্সেটাইল মিডিয়ার ছবি ‘ময়না’তে। পাশাপাশি প্রতিনিয়তই নতুন ছবির প্রস্তাব আসছে। শিগগিরই আরও কিছু ছবি যুক্ত হবে হয়তো। দেখা যাক কী হয়।

জাগো নিউজ : ‘জান্নাত’সহ আপনার নতুন সব চলচ্চিত্রের জন্য শুভকামনা-
মাহি : আপনাকে ও জাগে নিউজকে অশেষ ভালোবাসা।

এলএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।