ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষায় পুলিশ
জ্যাকলিন মিথিলার মৃত্যুর পর করা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনো পায়নি পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর থানা পুলিশ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রামের বাড়িতে তিনি আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় তার বাবা স্বপন শীল একটি মামলা দায়ের করেছেন। এর আগে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক রকম ঘোষণা দিয়ে আত্মহত্যা করেন ঢাকাই ছবির আইটেম কন্যা মিথিলা।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, মামলায় মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- স্বামীর সঙ্গে মিথিলার ঝগড়া। মামলায় মিথিলার প্রকৃত নাম দেয়া হয়েছে জয়া শিল।
তিনি বলেন, তবে আমরা এখনো ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাইনি। মৃত্যুর অন্য কোনো কারণ ছিল কি না তা জানার জন্যই মূলত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রয়োজন। রিপোর্ট পাওয়ার তদন্তের স্বার্থে তার স্বামী উৎপল রায়কে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি বলেন, মিথিলার বাবা জানিয়েছেন তার মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে এক্ষেত্রে তার স্বামীর প্ররোচনা রয়েছে। স্বামীর সঙ্গে তার প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। ৩০৬ ধারায় তিনি গত ৩ ফেব্রুয়ারি মামলা করেছেন। মামলা নং ৬।
এ ব্যাপারে মৃত্যুর পরই মিথিলার বাবা স্বপন শীল জানান, গলায় দড়ি দিয়ে মিথিলা আত্মহত্যা করেছে। এর আগে সে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল।
জ্যাকলিনের জন্ম ফেনীতে এবং তার শৈশবও কেটেছে ফেনীতে। তার পিতা স্বপন শীল পেশায় একজন নরসুন্দর। জ্যাকলিন কৈশোরের শুরুতে চট্টগ্রামে চলে আসেন এবং সেখানেই বড় হন। এরপর ঢাকায় এসে মিডিয়ার সঙ্গে যুক্ত হন। কয়েকটি ছবিতে তিনি আইটেম গানে নেচেছেন।
সর্বশেষ পিএ কাজল পরিচালিত ‘চোখের দেখা’ ছবির আইটেম গানে নাচেন তিনি। এছাড়া প্রায়ই সময়ে খোলামেলাভাবে ফেসবুক লাইভে এসে বিতর্কের জন্ম দেন তিনি।
জানা গেছে, মিথিলার স্বামী একজন সরকারি চাকরিজীবী। সাত বছর প্রেম করার পর গত নভেম্বরে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলতে থাকে।
জেইউ/জেডএ/এমএস