শঙ্কামুক্ত হলেও এখনো আইসিইউতে ন্যান্সি
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়া জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি শঙ্কামুক্ত হলেও এখনো তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন।
হাসপাতালের করপোরেট কমিউনিকেশন শাখার এজিএম সাইফুর রহমান লেনিন জানান, ডা. মোহাম্মদ ফরহাদ উদ্দীনের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন ন্যান্সি। তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত।
তিনি জানান, ন্যান্সিকে এখন চাইলে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা যায়। তবে কেবিনে স্থানান্তর করা হলে লোকজনের ভিড়ে তার বিশ্রামে অসুবিধা হতে পারে বিবেচনা করে তাকে এখনই কেবিনে স্থানান্তর করা হচ্ছে না।
লেনিন জানান, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে গতকাল পর্যন্ত তিনি এক ধরনের ঘোরের মধ্যে ছিলেন। তবে তা অনেকটাই কমে এসেছে।
অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ন্যান্সিকে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর ন্যান্সি নিজেই চিকিৎসকদের জানান, শনিবার দুপুর ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে দুই দফায় মোট ৬০টি ঘুমের ওষুধ সেবন করেছেন। প্রথম দফায় ৪০টি ও দ্বিতীয় দফায় ২০টি ওষুধ সেবন করেন তিনি।
শনিবার রাত ১টা পর্যন্ত শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। পরে রাতেই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে গতকাল রোববার সকালে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
জানা গেছে, ন্যান্সির সঙ্গে গত বছর ময়মনসিংহ পৌরসভার কর্মচারী জাহেদের বিয়ে হয়। কয়েক দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তার মতবিরোধ চলছিল। এরই মধ্যে কন্যাসন্তানের মা হন তিনি। কিছুদিন ধরে ন্যান্সি নেত্রকোনা জেলা শহরের সাতপাই এলাকায় বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
কয়েক দিন আগে ন্যান্সির মা জ্যোৎস্না হক মারা যাওয়ার পর ন্যান্সির বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে দূরত্ব তৈরি হয় বাবা-মেয়ের। এ ছাড়া স্বামী জায়েদ ও শ্বশুরবাড়ি আর্থিকভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল ন্যান্সির ওপর। স্বামী নাজিমুজ্জামান জায়েদ ও দুই মেয়ে রোদেলা আর নায়লাকে নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ-ঢাকা যাতায়াতের মধ্যে থাকতেন ন্যান্সি। সম্প্রতি ঢাকার মগবাজারে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন ন্যান্সি। নেত্রকোনার ছোটগারা এলাকায় তার একটি দোতলা বাসা রয়েছে। এ বাসায় মাঝেমধ্যে তিনি আসতেন। আবার চলে যেতেন।