শিল্পকলায় চীনা নববর্ষের বর্ণিল উদযাপন (দেখুন ছবিতে)
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বর্ণিল পরিবেশনায় উদযাপিত হয়ে গেল চীনা নববর্ষ। এখানে পরিবেশনায় অংশ নেন বাংলাদেশ ও চীনের শিল্পীবৃন্দ।
গতকাল রোববার এ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ও চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং চীনের হেনান প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার। আজ সোমবারও একই মঞ্চে হবে অনুষ্ঠান।
রোববার সন্ধ্যায় নৃত্য পরিবেশিত হয় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে। নৃত্যনাট্য উপস্থাপন করেন নৃত্যশিল্পী মুনমুন আহমেদ ও তার দল। আর দর্শককে বিমোহিত করেছে চীনের হেনান আর্ট ট্রুপ। ৩৫ সদস্যের এই চীনা দলটি উপস্থাপন করে বহুমাত্রিক পরিবেশনা। অনবদ্য অ্যাক্রোবেটিকের সঙ্গে ছিল নাচ ও গানের মনমাতানো উপস্থাপনা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বিশেষ অতিথি সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ইয়াং শিচাও এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেন্টারের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।
শুরুতেই মঞ্চে আসেন মুনমুন আহমেদ ও তার দল রেওয়াজ। এরপর ঢাকা সাংস্কৃতিক দল সম্মিলিত কণ্ঠে চীনা ভাষায় গান গেয়ে শোনায়। হেনান আর্ট ট্রুপের শিল্পীরা নৃত্যের ছন্দে তুলে আনেন চীনের ঐতিহ্য। এ সময় মঞ্চে থাকা বিশালাকৃতির এলইডি মনিটরে তুলে আনা হয় চীনের ঐতিহ্যবাহী নানা স্থাপনার চিত্র। এর পর মঞ্চে পরিবেশন করা হয় শাওলিন, যা কুংফু নামেই অধিক পরিচিত। ছিলো দলটির নারী সদস্যদের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক শো।
চীনা ভাষায় গান গাইলেন চীনের সাংস্কৃতিক দল। বাংলাদেশের দর্শকরা বুঝলেন না, বাংলা ভাষার গানও নিশ্চয়ই চীনের শিল্পীরা বোঝেননি। কিন্তু ভাষার দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়েছিল দুই দেশের বন্ধুত্বের উষ্ণতা।
এলএ