কুয়াকাটা মেগাবিচ কার্নিভালে থাকছে বিনোদনের নানা আয়োজন


প্রকাশিত: ০৭:১৩ এএম, ১১ জানুয়ারি ২০১৭

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সাগরকন্যা খ্যাত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী মেগাবিচ কার্নিভাল-২০১৭। আগামী ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ কার্নিভালে প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকবে নানা আনন্দ-বিনোদনের ব্যবস্থা। গাইবেন দেশের র্শীষ স্থানীয় লোক সংগীত শিল্পী সালমাসহ আরো অনেকে। চিত্র নায়ক-নায়িকাদের অংশগ্রহণে থাকছে নাচের বিশেষ আয়োজন ।

বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির জানান, ১৪ জানুয়ারি সকাল ১০টায় বর্ণাঢ্য র্যা লির মাধ্যমে প্রথম দিনের কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যটন মোটেল থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এ র্যা লির আয়োজক পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক। এরপরই থাকবে গ্র্যান্ড ওপেনিং এবং উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এছাড়া থাকবে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, ভলিবল, ঘুড়ি ওড়ানো, দাড়িয়াবান্দা, ওয়াটার বাইক, এটিভি রাইডস, বোট বোয়িং, বিচ লাইটিং, ক্যাম্পফায়ার, কুয়াকাটা-সুন্দরবন সি-ক্রুজিংসহ নানা আয়োজন। এছাড়াও ফুড ফেস্টিভাল ও মেলা চলবে প্রতিদিন। বিকাল পাঁচটায় লেজার শো ও ফানুস উড়ানো হবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি রাতে গাইবেন দেশের বিশিষ্ট ব্যান্ডদল এলআরবি।
এছাড়া বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে কচিখালী-কটকা-ফাতরারচর-সুন্দরবন নৌ ভ্রমন। তবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলে এই ভ্রমন বাতিল হতে পারে। উন্মুক্ত বিচ এলাকায় ফায়ার ক্যাম্পিং ও বার্বিকিউ পার্টি থাকবে। এছাড়া তাবুতে থাকার ব্যবস্থাও করা হবে। পর্যটকরা ইচ্ছা করলেই তাবুকে রাত কাটাতে পারবেন।

জানা যায়, দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য, রাখাইন সম্প্রদায়ের বৈচিত্রময় জীবনাচার, ঐতিহাসিক ‘কুয়া’, প্রাচীন আমলের নৌকা, বৌদ্ধমন্দির ও শতমুর্তির হিন্দু মন্দির ইত্যাদি বিষয়ে পরিচিত করার জন্যই এই কার্নিভালের আয়োজন।  

এ বিষয়ে বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জাগো নিউজকে বলেন, এখন আমরা আকাশ, নৌ ও স্থলসহ সব পথে কুয়াকাটায় সহজে পৌঁছে যেতে পারি। শুধু যাতায়াতের ক্ষেত্রেই নয় কুয়াকাটায় আরো কিছু এলিমেন্ট যুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের একটি অংশ কুয়াকাটায় পড়েছে। কুয়াকাটা থেকে ২০ থেকে ৩০ মিনিটে সুন্দরবন যেতে পারি। একই সঙ্গে সুরারচর নামে একটি চর আছে। যেখানে বসতি অল্পই রয়েছে। এই চরে বিপুল পরিমাণ বন্যপ্রাণী বিচরণ করছে। আমরা শীঘ্রই চেষ্টা করব সেখানে একটি অভয়ারন্য তৈরি করতে।

এইচএস/এমএমজেড/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।