ফাল্গুনে পুলকিত জাগোনিউজ, ২ লাখ বন্ধুর পরিবার


প্রকাশিত: ০১:৫৬ পিএম, ১৪ মার্চ ২০১৫

ফাগুনের এই দিনগুলো খুবই সুন্দর। চারদিক ঝকঝক করছে। এদিকে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল দিচ্ছে একটার পর একটা জয়ের খবর। রীতিমতো আনন্দে ভাসছে দেশ। এই প্রথম আমরা বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে। সবশেষ নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই করেছে আমাদের টাইগাররা। রাজনৈতিক এই সংকটে এটাই আনন্দের মাত্রা। ঠিক এই সময়টাতেই জাগোনিউজের নতুন অর্জন। পাঠকের আরো বেশি ভালোবাসা পেলাম আমরা।

শনিবার এই দিনে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে আমরা পেলাম দুই লাখ বন্ধুর একটি পরিবার। যারা সার্বক্ষণিক জাগোনিউজের সঙ্গী। যারা আমাদের শক্তি। এগিয়ে চলার প্রেরণা। বন্ধুরা, আন্তরিক শুভেচ্ছা নিন।

এর আগে গত ২৯ ডিসেম্বর আমরা পাই লাখো বন্ধুর পরিবার।

হাটি হাটি পা পা করেই তো আমরা এগিয়ে যেতে চাই। তবে যাত্রা শুরুর আগেই এমন ভালোবাসা আমাদের দায়িত্বকে যেন বাড়িয়ে দিচ্ছে। বলছে, বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করতে। হ্যাঁ পাঠক, আমরা জাগোনিউজ পরিবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আসুন, সবাই মিলেই ভালো থাকি। ভালো থাকুক এই আমাদের বাংলাদেশ! আর আমরা সাংবাদিকতার উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যেতে চাই সবার ভালোলাগা নিয়ে।

এই চাওয়াটাই এখন আমাদের সবার চাওয়া। লক্ষ্য অর্জনে পেয়েছি অভিভাবক। ইতোমধ্যে জাগোনিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে যোগ দিয়েছেন দীর্ঘদিনের পেশাদার সাংবাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী ছাত্র সুজন মাহমুদ। বাড়ছে পরিবারের সদস্য। আরিফুল ইসলাম আরমান। যে মানুষটি শুরু থেকেই জাগোনিউজের এগিয়ে চলার সঙ্গী। আজ আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের মিডিয়া ম্যানেজার কেএম জিয়াউল হকের কাছেও। যিনি সার্বক্ষণিক প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছেন।

তাই আর পথ হারানোর ভয় নেই। এগিয়ে চলার পথে বাধা আসলেও পেরিয়ে যাবো আমরা।

রাষ্ট্রীয় শাসনব্যবস্থা বা রাজনীতিতে এক গভীর সংকট চলছে। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো যেন মুখোমুখি। আমরা জানিনা, রাজনৈতিক এই সংকট কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।

আশায় বুক বেঁধে আছি। কিন্তু, আমাদের এই আশাবাদ কতটুকু বাস্তবসম্মত? সত্যি সে আশা বা সম্ভাবনা এখনো দেখা যায় না। বরং বিগত দুই মাসের সহিংস রাজনীতি থেকে বাংলাদেশ বেরিয়ে আসতে পারবে কি না, সেটাই এখন দেশের মানুষের বড় দুশ্চিন্তার কারণ।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই চলছে এসএসসি পরীক্ষা। সময়সূচি পাল্টাতে পাল্টাতে শিক্ষাসূচি যেন ভেঙে পড়েছে। দেখার বিষয় এইচএসসি পরীক্ষা সময় মতো শুরু হয় কিনা।

আমাদের সব দুশ্চিন্ত আর সংকট যেমন সত্যি, তেমনি আমরা দেখি বিগত দুই দশক ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। সব সরকারের সময় ধরেই বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা চলেছে। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রগুলোতে বড় রকমের অগ্রগতি হচ্ছে।

আজ দেশে লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ফোনে। কৃষক তার পণ্যের বাজার খুঁজছেন মোবাইল ফোনে। আট বছর ধরে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও গড়ে ৬ শতাংশের বেশি। রিজার্ভ বেড়ে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার। বাড়ছে প্রবাসী আয়।

শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ যে এগিয়েই চলেছে, তার মূলে রয়েছে বাংলাদেশের মানুষের বহুমুখী কার্যক্রম।

আমরা জানি, আমাদের এই উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হতে পারত। আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে যেতে পারতাম, যদি দেশের রাজনীতি এত সংঘাতময় না হতো।

সেদিকে আমরা থাকবো সদাসতর্ক। নিরপেক্ষ, সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের কর্তব্য পালন করে যাব। অভিনন্দন ফেসবুক বন্ধুদের।

এসএ/বিএ/আরআই

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।