খলিল উল্লাহ খানের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ


প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ০৬ ডিসেম্বর ২০১৬

কিংবদন্তি অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়। বলছি চলচ্চিত্রের সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী অভিনেতা খলিল উল্লাহ খানের কথা। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের চলচ্চিত্র অভিযাত্রার সঙ্গে থেকে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর চিরবিদায় নেন অভিনেতা খলিল। আজ তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

৫৪ বছর ধরে প্রায় আটশ’ ছবিতে অভিনয় করেছেন খলিল। তবে তার অভিনয়ের শুরুটা হয়েছিল টিভি নাটকের মধ্যদিয়ে। ‘গুণ্ডা’ শিরোনামের ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরো অনেকে।

১৯৩৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সিলেটের কুমারপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন খলিল উল্লাহ খান। তার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। সে কারণে খলিলের শৈশব জীবন কেটেছে দেশের বিভিন্ন জেলাতে। খলিল ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।

১৯৫১ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। সিলেট এমসি কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। ১৯৫১ সালে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে কোয়েটাতে চলে যান। এরপর ১৯৫২ সালে ফিরে এসে আনসার অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে বয়সের কারণে রিটায়ার্ড করেন আনসার ডিপার্টমেন্ট থেকে।

১৯৫৯ সালে সোনার কাজল ছবিতে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় ছবি প্রীত না জানে রীত। ছবিটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় ছবি ‘সংগম’।

তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ‘প্রীত না জানে রীত’, ‘সংগম’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘ক্যায়সে কঁহু’, ‘জংলি ফুল’, ‘আগুন’, ‘পাগলা রাজা’, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘ওয়াদা’, ‘বিনি সুতার মালা’, ‘বউ কথা কও’, ‘কাজল’।

১৯৬৬ সালে এস এম পারভেজ পরিচালিত ‘বেগানা’ সিনেমায় প্রথমবারের মতো খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এরপর বহু সিনেমায় তাকে খলচরিত্রে দেখা গেছে। ইতিহাসনির্ভর ‘ফকির মজনু শাহ’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেও তিনি ভূয়সী প্রশংসা পান।

১৯৬৫ সালে ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে খলিল আত্মপ্রকাশ করেন পরিচালক হিসেবে। ‘সিপাহী’ ও ‘এই ঘর এই সংসার’ নামে দুটি সিনেমার প্রযোজনাও করেছেন তিনি।

শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ধারাবাহিক নাটক সংশপ্তকে তার অভিনয়ে ‘মিয়ার বেটা’ চরিত্র দর্শকনন্দিত হয়। ‘টাকা আমার চাই, নইলে জমি’ ফেলু মিয়ার (মিয়ার বেটা) এই সংলাপ তখন ছিল ব্যাপক আলোচিত।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি খলিলকে ২০১২ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পারিবারিক উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এনই/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।