মিশা সওদাগরের বিবাহবার্ষিকী আজ
রুপালি পর্দায় ‘মন্দ মানুষ’ বলেই পরিচিত মিশা সওদাগর। ভালো নাম শাহিদ হাসান। তার মত অসৎ মানুষ আর একটিও খুঁজে পাওয়া যায় না! কিন্তু পর্দার বাইরে চমৎকার বন্ধুসুলভ এবং আন্তরিক একজন মানুষ তিনি। এছাড়া রূপালি পর্দায় নায়ক-নায়িকাদের প্রেমে সবসময় বাগড়া দিলেও বাস্তব জীবনে মিশা একেবারেই আলাদা। বেশ রোমান্টিক।
তিনি নিজেই টানা ১০ বছর চুটিয়ে প্রেম করে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রীর নাম মিতা। দাম্পত্য জীবনে নিজেদের ভালোবাসাকে অটুট রাখতে কেউই ছাড় দেন না। তবে স্ত্রীর প্রতি মিশার ভালোবাসার দারুণ একটি প্রমাণ মেলে ‘মিশা’ নামটিতে। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময়ে স্ত্রীর নামের প্রথম অক্ষর ‘মি’ আর নিজের শাহিদ নামের ‘শা’ দিয়ে নাম রাখেন মিশা। সে নামেই তিনি চলেছেন ঢাকাই ছবিতে খল অভিনেতা হিসেবে কিংবদন্তির পথে।
আজ মিশা-মিতা দম্পতির ২৩তম বিবাহবার্ষিকী। ১৯৯৩ সালের ৬ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। আজ দিনভর মিশা সওদাগর ও তার স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন তাদের কাছের মানুষরা। জাগো নিউজের পক্ষ থেকেও রইলো অভিনন্দন।
বর্তমানে এই দম্পতির দুই সন্তান। তবে বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষে তেমন কোনো আয়োজন থাকছে না তাদের পরিবারে। মিশা জানান, ‘কাছে মানুষদের নিয়ে সন্ধ্যার পর ঘরোয়া একটা পার্টির আয়োজন করেছি। সবার কাছে দোয়া চাই। আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি অনেক ভাগ্যবান যে মিতা আমার পাশে অাছে। আমার আজকের মিশা সওদাগর হওয়ার পেছনে আল্লাহর পরে যার অবদান বেশি, সে হলো মিতা। আমি সিনেমার অভিনয়ের জন্য কতোদিন বাসার বাইরে থেকেছি! অনেক রাতে বাসায় ফিরতে পারিনি। কিন্তু সে কোনোদিন এসব নিয়ে অভিযোগ করেনি। বিয়ের প্রথম দিনটিতে যেমন ভালোবাসতো এখনো তেমনি ভালোবাসে। পুরো সংসারটা একাই মমতা দিয়ে আগলে রাখে সে।’
প্রসঙ্গত, সাত শতাধিক ছবির এই অভিনেতা আসন্ন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। তিনি নিজের জয় লাভে বেশ আশাবাদী।
এনই/এলএ