নাটকের বাজেট বৃদ্ধিসহ আরো ৭ দাবি এফটিপিওর


প্রকাশিত: ০৭:৪৫ এএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৬

দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য সময়সীমা নির্ধারণ এবং নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধিসহ নতুন আরো ৭ দাবি জানিয়েছে ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস্ অর্গানাইজেশন (এফটিপিও)।
 
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে টেলিভিশন মালিকদের কাছে এ দাবি জানানো হয়ে।
 
এফটিপিওর নতুন দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- কপি রাইট প্রথা বহাল, যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি গঠন, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নির্ভুল টিআরপি ব্যবস্থা চালু, এফটিপিওকে সরকারি স্বীকৃতি দেয়া, ভারতে বাংলাদেশি চ্যানেল চালু ও দুই দেশে ডাউন লিংক ফি’র যে অসমতা রয়েছে তা অপসারণ করা।
 
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এফটিপিও’র আহ্বায়ক মামুনুর রশীদ বলেন, বিটিভি’র মহা-পরিচালককে প্রধান করে এফটিপিওর সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী। ওই কমিটির কাছেই এই দাবিগুলো জানাচ্ছি। এগুলো আমাদের প্রাণের দাবি, যা খুবই সঙ্গতিপূর্ণ।
 
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর ‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এফটিপিও’র উদ্যোগে সমবেত হন টেলিভিশন শিল্পি ও কলাকুশলীরা।
 
ওই সমাবেশ থেকে ডাউন লিংক ফিড বা চ্যানেলের মাধ্যমে বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় বিজ্ঞাপন প্রচার এবং দেশের বেসরকারি চ্যানেলে বাংলায় ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল বন্ধসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়।
 
বাকি তিনটি দাবির মধ্যে ছিল- এক. টেলিভিশন শিল্পের সর্বক্ষেত্রে এআইটি’র নূন্যতম হার পুনঃনির্ধারণ করা।

দুই. টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ, ক্রয় ও প্রচারের ক্ষেত্রে ক্লায়েন্ট অথবা এজেন্সির হস্তক্ষেপ ছাড়াই চ্যানেলের অনুষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা।
 
তিন. দেশের টেলিভিশন শিল্পে বিদেশি শিল্পী ও কলাকুশলীদের অবৈধভাবে কাজ করা বন্ধ করতে হবে। বিশেষ প্রয়োজনে কাজ করতে হলে, সরকারের অনুমতি এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠগুলোতে নিবন্ধিত হতে হবে। অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রয়োজনে সরঞ্জমাদি (ক্যামেরা, লাইট ও অন্যান্য) বিদেশ থেকে আনার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
 
তিনি আরো বলেন, মিডিয়া ইউনিটি তাদের দাবি আদায় হয়েছে উল্লেখ করে আন্দোলন বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে আমদের প্রাণের দাবিগুলো আদায় হয়নি। তাই আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
 
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মামুনুর রশীদ বলেন, ডাবিং করা সিরিয়াল অতি অল্প টাকায় কিনে চালানো যায়। দীপ্ত টেলিভিশন যে সিরিয়াল চালাচ্ছে সেই সিরিয়ালটি যে দেশে নির্মাণ করা হয়েছে, তা ওই দেশেই ব্যান্ড (নিষিদ্ধ)। আমাদের দাবি ভারতীয় হিন্দি ও বাংলা যেসব সিরিয়াল চালানো হচ্ছে তাও বন্ধ করতে হবে।
 
দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে ডাবিং করা সিরিয়াল চালানো হচ্ছে এবং এসব সিরিয়াল দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এক সাংবাদিকের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে এফটিপিও’র সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত বলেন, ছবি, সংঙ্গীত ও নাটকে নির্মাণে আমরা বেশ এগিয়ে আছি। আর বিদেশি সিরিয়ালগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ কথা ঠিক নয়।

এমএএস/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।