আবারো একসঙ্গে ফেরদৌস ও নিপুণ


প্রকাশিত: ০২:৫৪ এএম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

’৭১-এর ২৫ মার্চের কালোরাতের পর শোভনের বড় ভাই সুমন মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারত চলে যান। শহরে কোনো নিরাপত্তা নেই। বিশেষ করে উঠতি বয়সী কিশোর এবং তরুণরাই বেশি বিপদে। যখন-তখন মিলিটারি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাই শোভনকে বাবা-মা গ্রামে ওর মেজ মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

মামা বাড়িতে শোভন আবিষ্কার করে তার মামা একজন স্বাধীনতাবিরোধী। পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রামের নিরীহ মুক্তিকামী মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। বিদ্রোহ করে শোভন। মামার সঙ্গে ঝগড়া করে গ্রাম ছাড়ে। শহরে এসে যুদ্ধে যেতে চায় শোভন। কিন্তু বাবা-মা অনুমতি দেন না। সুমন ট্রেনিং থেকে ফিরে ঝাঁপিয়ে পড়ে যুদ্ধে। মামার মেয়ে ময়না বাবার সব অপকর্মের গোপন তথ্য প্রেমিক সুমনকে সরবরাহ করতে থাকে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ তার কাক্ষিত হলেও প্রেমিক সুমনকে হারানোর ভয় তাকে তাড়া করে প্রতিনিয়ত। এক সময় যুদ্ধের জন্য বাবা-মায়ের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করে কিশোর শোভন। কিন্তু সেদিনই তাকে পাকিস্তানি মিলিটারিরা ধরে নিয়ে যায়।

এমন গল্পের ছবিতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস ও নিপুণ। রশীদ হায়দারের উপন্যাস অবলম্বনে ও মানিক মানবিক পরিচালিত এ ছবির নাম ‘শোভনের স্বাধীনতা’। ছবিতে অভিনয় প্রসঙ্গে ফেরদৌস বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ব্যক্তিক্রমধর্মী একটি ছবি এটি। গতানুগতিক ধারার বাইরে বলে দর্শকদের পছন্দ হবে। নিপুণ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে নির্মিত ছবিতে অভিনয় করতে পারাটা আমার জন্য গৌরবের। আশা করছি দর্শকরা ভিন্ন স্বাদের একটি ছবি দেখতে পাবেন।’

এআরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।