আমার জীবনে কোনো অপ্রাপ্তি নেই : রুনা লায়লা


প্রকাশিত: ০৮:৪৯ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

উপমহাদেশের কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নেয়া কিংবদন্তি শিল্পী রুনা লায়লা। সিলেটে জন্ম, করাচিতে বেড়ে ওঠা। ১৯৭৪ সালে আবার বাংলাদেশে ফেরা। ১২ বছর বয়সে প্রথম ছায়াছবিতে গান। এর পর শুধু অগ্রযাত্রা।

আজ এই কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পীর জন্মদিন। এ দিন তিনি কথা বললেন জাগো নিউজের বিনোদন বিভাগে। তার সঙ্গে আলাপের চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো-

জাগো নিউজ : শুভ জন্মদিন ম্যাডাম...
রুনা লায়লা : ধন্যবাদ তোমাকে।  

জাগো নিউজ : এবারের জন্মদিনটি কীভাবে কাটাচ্ছেন?
রুনা লায়লা : বিশেষ কোনো প্ল্যান নেই। সবসময় পরিবারের সঙ্গে কাটানোর চেষ্টা করি। গতবার জন্মদিনে ছিলাম লন্ডনে। এবার দেশে আছি। আর গতকাল রাত থেকে দেশ-বিদেশ থেকে অনেক ফোন আসছে, মেসেজ আসছে। ফেসবুকেও ম্যাসেজ পাঠাচ্ছেন অনেকে। শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন, শুভকামনা জানাচ্ছেন। এসবের মধ্যে অন্যরকম এক আনন্দ খুঁজে পাই।

জাগো নিউজ : জন্মদিনে বিশেষ কারো কথা মনে পড়ে?
রুনা লায়লা : আমার এক মেয়ে ও দুই নাতি থাকে লন্ডনে। ওদের মিস করি। তবে সারাদিন ভক্ত ও কাছের মানুষেরা ভালোবাসা দিয়ে চারদিক এমনভাবে ঘিরে রাখে যে, কাউকে মিস করার কথা মনেও থাকে না।

জাগো নিউজ : আপনি তো কোটি ভক্তের প্রিয় মানুষ, আইডল ও অনুপ্রেরণা। কিন্তু আপনার জীবনে সেরা মানুষ বা অনুপ্রেরণা কারা?
রুনা লায়লা : আমার জন্য সেরা মানুষ আমার বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ ইমদাদ আলী আর মা আমিনা লায়লা। এরপর আমার বোন দীনা লায়লা। তিনি আমাকে অনেক সমর্থন-সহযোগিতা করেছেন আজীবন। তার কথা খুব মনে পড়ে। তিনি সব সময় অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। তবে আজকের রুনা লায়লা হওয়ার পেছনে একমাত্র অবদান আমার মায়ের। আমার কাছে সেরা একজন মানুষ আমার স্বামী অভিনেতা আলমগীরও। তার সঙ্গ আমাকে অনুপ্রাণিত করে সবসময়।

জাগো নিউজ : বর্ণাঢ্য জীবন আপনার। সাফল্যে মোড়ানো। তবুও তো মানবজনমে সব পূরণ হয় না। অপূর্ণতা থেকে যাওয়া জীবনের বৈশিষ্ট্য। সেদিক থেকে আপনার জীবনে অপ্রাপ্তি কী?
রুনা লায়লা : আমার জীবনে কোনো অপ্রাপ্তি নেই। ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে গান করছি, এটা আল্লাহর অশেষ রহমত। একজন শিল্পীর জীবনে এটা আসা মানে বিরাট ব্যাপার। তবে অপূর্ণতা জীবনে থেকেই যায়- এটা সত্যি। যেমন আমার অনেক গান আছে প্রিয়। সেগুলো শুনলে খুব আফসোস হয়। মনে মনে ভাবি- ইশ! এই গানটা যদি আমি গাইতে পারতাম!’

জাগো নিউজ : নতুনদের জন্য আপনার নির্দেশনা কী?
রুনা লায়লা : একটা পরামর্শই আমি সব সময় দিয়ে যাই- গানটা ভালোভাবে শিখে আসো। ভালো গান করো, মৌলিক গান করো। গুণী শিল্পীদের গান শোনো, তাদের কঠিন গানগুলো অনুশীলন করো, তাহলেই চর্চার কাজটা হয়ে যাবে, গলাটা ঠিক হবে। মনে রাখা দরকার, বেজ ঠিক করতে হবে সবার আগে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, শিল্পী কখনো টাকার পেছনে ছুটবে না। তার কাছে আগে শিল্পেরই স্থান।

এনই/এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।