অভিনয়ে নিয়মিত হবেন নারিসা


প্রকাশিত: ০৭:২৬ এএম, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

নারিসা আহমেদ। ২০০৫ সালের ব্যক্তিগত ফটোশুটের জন্য গিয়েছিলেন একটি স্টুডিওতে। সেখানে একটেল (বর্তমানে রবি) মুঠোফোন সেবাদানকারি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন এজেন্সির কর্তারাও অন্য একটি কাজে উপস্থিত ছিলেন। তারা নারিসার ছবি দেখেই তাকে বিজ্ঞাপন করার প্রস্তাব দেন।

আকস্মিক এই সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। সাতপাঁচ না বুঝেই হ্যাঁ বলে দেন। তারপর সেদিনই তৈরি হয়ে সেই কোম্পানির বিজ্ঞাপনের জন্য ফটোশুটে অংশ নেন। সেগুলো ছিলো একটেল জিপিআরএস, এসএমস, এফএনএফ এই তিনটি বিজ্ঞাপন। সেটি সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। টেলিভিশন, পত্রপত্রিকা, আর রাস্তার মোরে বড় বিলবোর্ডে শোভা পায় নারিসার ছবি।  

এই সুবাদে রীতিমত তারকা বনে যান এই সুন্দরী! তারপর থেকে তার কাছে কাজ আসতে থাকে। নারিসা বলেন, ‘ওই তিনটি বিজ্ঞাপন দিয়ে আমি ব্যাপক পরিচিত পাই। তারপর অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের পণ্যের মডেল হয়েছি। যেমন নোকিয়া মোবাইল, উইমেনস ওয়ার্ল্ড, জেমস গ্যালারী, পূরবী জুয়েলার্স, অ্যারাবিয়ান জুয়েলার্স ইত্যাদি। এছাড়া ইবিজ ম্যাগাজিন, মিরর, ক্যানভাস ছাড়াও কিছু ম্যাগাজিনের মডেল হই।’

ঢাকার মেয়ে নারিসা ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন মিডিয়াতে কাজ করবেন। তার মা কণ্ঠশিল্পী বিন্দু আহমেদ। মায়ের কাছেই ৯ বছর বয়স থেকে গান শেখেন নারিসা। এছাড়া ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি গান, অভিনয় ও অন্যান্য কাজে মনোযগী ছিলেন। পেয়েছেন ওয়াইজিটিএল (২০০৬) অ্যাওয়ার্ড।

ছোটপর্দায় একাধিক পরিচয়ে তিনি পরিচিত হতে লাগলেন। কখনো মডেল, কখনো বা উপস্থাপক। বেশ কিছু নাটকেও প্রস্তাব পান তিনি। কিন্তু মডেলিং আর উপস্থাপনার ব্যস্ততায় সময়ে করে উঠতে পারেননি। ঠিক যখন ভাবলেন নাটক-টেলিছবিতে অভিনয় করবেন তখন উচ্চশিক্ষার জন্য দেশ ছাড়তে হলো।

নারিসা বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া দু’দেশের বাসিন্দা। সেখানে ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি সিডনি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। এখনো সেখানেই আছেন নারিসা। তার ইচ্ছে অস্ট্রেলিয়া থেকে রুপচর্চার কিছু টিপস দিয়ে একটি ইউটিউব চ্যানেলে চালু করার।

তবে ৯ বছর পর চলতি বছরে গেল সেপ্টেম্বরে দেশে ঈদ করতে এসেছিলেন নারিসা। এসেই শোবিজে কাজ করেছিলেন। এসএ টিভির সৌন্দর্য্য বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘স্যান্ডেলিয়া সাইন অন’ এর মডেল হন। সৌজন্যে ছিলো উইমেনস ওয়ার্ল্ড এবং ওয়ারা হাউজ। এছাড়া এসএ টিভির আরেকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। সেটির নাম ‘উইডিংক স্টোরি’।

নারিসার ইচ্ছে দেশে এসে স্থায়ী হয়ে অভিনয়ে নিয়মিত হবেন। তিনি বলেন, ‘যখন অস্ট্রেলিয়াতে আসি তার আগে দুটো নাটকে কাজের অফার পেয়েছিলাম। দ্রুত অস্ট্রেলিয়াতে চলে আসায় সেগুলোতে কাজ করতে পারিনি। তবে আগামীতে দেশে ফিরে অভিনয়ে নিয়মিত হবো। কারণ প্রবাসে থেখে বুঝেছি অভিনয়ের মানুষরা বাইরের জগতের মানুষের কাছে কতটা প্রিয়। আমিও সবার প্রিয় মানুষ হতে চাই; মানসম্পন্ন কাজ ও নান্দনিক অভিনয় দিয়ে। এখানে সব ঝামেলা চুকিয়ে খুব শিগগিরই দেশে ফিরতে চাই।’

এনই/এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।