ঢাকা ফোক ফেস্টে এবার গাইবেন যারা


প্রকাশিত: ১০:০৩ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৬

সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক লোকসংগীত। এটি একটি জীবন দর্শন। এই সংগীতের অপূর্ব সুর এবং কথায় আত্মা হয় পরিশুদ্ধ। হৃদয়ের গহীন স্পর্শ করা লোকসংগীত শুধুমাত্র বাংলার মানুষের জীবনধারা নয় বরং বিভিন্ন ধর্মের প্রার্থনায়, বিভিন্ন মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপনে জড়িয়ে আছে দারুণভাবে।

ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি আর বাউল গানের সুরে দেহ-মনে আসে পরম তৃপ্তি। হাজার বছর ধরে বাংলার শেকড়ে ছড়িয়ে থাকা গানগুলো আলোড়িত করে যাচ্ছে শ্রোতাদের প্রাণ। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ছে এর মুগ্ধতার ছোঁয়া।   

দেশজুড়ে সাড়া জাগানো নিজেকে চেনার উৎসব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট ২০১৫ এর সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতেই দ্বিতীয় বারের মতো সান ইভেন্টস আয়োজন করছে তিন দিনব্যাপী ‘ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্ট, আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসব ২০১৬’। বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে আগামী ১০ থেকে ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দর্শকরা উপভোগ করবেন বাংলাদেশসহ বিশ্বের সেরা লোকসংগীত শিল্পীদের পরিবেশনায় শেকড় সন্ধানী গান।

এবার দেশ-বিদেশের শতাধিক লোকশিল্পী এই উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন। মাতিয়ে তুলবেন শ্রোতাদের সংগীত পিপাসু অন্তর। তার মধ্যে প্রথমদিনের আকর্ষণ হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশের ফোক সম্রাজ্ঞী মমতাজ বেগম, আবদুর রহমান বাউল, টুনটুন বাউল, পাকিস্তানের জাভেদ বশির এবং বাংলাদেশের শিল্পী ফরিদা ইয়াসমিনের সঙ্গে মঞ্চে আসবেন যুক্তরাজ্যের সাইমন থ্যাকার্স সাভারা কান্তি এবং ভারতের রাজু দাস বাউল।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন ১১ নভেম্বর মঞ্চে আসবেন বাংলাদেশর জনপ্রিয় বংশীবাদক জালাল। আরো থাকবেন বাউল শফি মণ্ডল ও লাবিক কামাল গৌরব, লতিফ সরকার। বিদেশিদের মধ্যে মঞ্চে আসবেন ভারতের ইন্ডিয়ান ওশান, কৈলাশ খের, কানাডা থেকে প্রসাদ, স্পেনের কারেন লুগো এন্ড রিকাডো মোরো।

সমাপনী দিন  ১২ নভেম্বর শনিবার শ্রোতাদের মন মাতাবেন বাংলাদেশ থেকে বারী সিদ্দিকী, ইসলাম উদ্দিন কিসসাকার, তাপস এন্ড ফ্রেন্ডস, সুনীল কর্মকার, ভারতের নুরান সিস্টার্স, যুক্তরাজ্যের সুশীলা রামান এবং স্যাম মিলস এবং সর্বশেষ আকর্ষণ হিসেবে মঞ্চে গাইবেন উপমহাদেশে লোকগানের প্রখ্যাত গানওয়ালা পবন দাস বাউল।  

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।