পূজার সেই আনন্দ আর পাই না : মিম


প্রকাশিত: ০৯:১০ এএম, ১০ অক্টোবর ২০১৬

লাক্স তারকা বিদ্যা সিনহা মিম হয়েই শোবিজে যাত্রা শুরু। ছোট ও বড় পর্দা- দুই ভুবনেই তিনি জনপ্রিয়তা নিয়ে কাজ করে চলেছেন। নতুন করে শুরু করেছেন সৈকত নাসিরের ‘পাষাণ’ ছবির শুটিং। সেখানেই কথা হলো তার সঙ্গে। জাগো নিউজকে জানালেন এবারের দুর্গাপূজা নিয়ে তার ভাবনা, স্মৃতিকথা। সেই সঙ্গে বললেন তার নতুন ছবি ও চলচ্চিত্রের অনেক কিছু। লিমন আহমেদের সম্পাদনায় এই লেখার জন্য ছবি তুলেছেন মনজুরুল আলম-

bidya-sinha-mim

জাগো নিউজ : তারকা হবার আগে পূজার দিনগুলো কীভাবে কাটতো?

মিম : পরিবারের সঙ্গে পূজা উদযাপন করতাম। কখনো নানাবাড়ি রাজশাহী, কখনো ভোলায় পূজা কাটতো। রাজশাহীতে হলে অনেক মজা হতো। সারাদিন ঘুরে বেড়াতাম। এলাকার প্রায় সব মণ্ডপে যেতাম। সুন্দর প্রতিমা নির্বাচন করতাম। আরতি দিতাম। কেউ কিছু বলতো না। অনেক খাওয়া দাওয়া হতো। শৈশব-কৈশোরের সেইসব দিনগুলো খুব মিস করি।

জাগো নিউজ : তারকাখ্যাতির পর পূজা উদযাপনে নিশ্চয়ই অনেক পরিবর্তন এসেছে?
মিম : অনেক। এখন আর সেই মজাটা নেই। কোথাও গেলেই ক্রাউড হয়ে যায়। রাজশাহী কিংবা ভোলাতে যেতে চাইলে আগেই খবর চাউর হয়ে যায়। বিড়ম্বনার মুখোমুখি হই। দেবী দর্শন বাদ দিয়ে সবাই আমাকেই দর্শনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেলফি তুলতে চায়। মণ্ডপে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। তাই নিজেকে আনন্দিত করার মতো ব্যক্তিগত সেই সুযোগটা আর পাই না।

bidya-sinha-mim

জাগো নিউজ : তবুও তো দেবী দর্শনে যেতেই হয়। তো এবার পূজা নিয়ে আপনার আয়োজন কী?
মিম : এবার পূজা নিয়ে তেমন কোনো বাড়তি আয়োজন নেই। কাজের ফাঁকে সময় করে প্রতিমা দেখতে যাবো। বাবা-মা ও পরিবারের অন্যরা সঙ্গে থাকবে।

জাগো নিউজ : পূজায় আপনার প্রত্যাশা কী?
মিম : অসাম্প্রদায়িক সুন্দর ও শান্তির বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে চাইবো আমাদের চলচ্চিত্রে সুদিনের যে হাওয়াটা লেগেছে সেটা যেন আরো বেশি সাফল্যের হয়। আমরা যেন বিশ্ব চলচ্চিত্রাঙ্গনে নিজেদের শক্ত অবস্থানে তুলে ধরতে পারি। নিজের জন্য ও পরিবারের জন্যও অনেক চাওয়া থাকবে দেবীর কাছে।

জাগো নিউজ : আপনি সৈকত নাসিরের ‘পাষাণ’ ছবিতে কাজ করছেন। ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কী?
মিম : পাষাণ নিয়ে অনেক প্রত্যাশা আমার। ইউনিক একটি গল্প। নির্মাণেও বেশ মুন্সিয়ানা দেখবেন দর্শক। আমার চরিত্রটি বেশ চ্যালেঞ্জিং।

bidya-sinha-mim

জাগো নিউজ : এই ছবিতে আপনি কলকাতার ওমের সঙ্গে কাজ করছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
মিম : বেশ ভালো। ওম অভিনয়ের প্রতি অনেক মনোযোগী। সে পরিশ্রম করছে নিজেকে দুই বাংলাতেই নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে। এই ছবিতে তার চরিত্রটিও বেশ চমৎকার। আর নতুন সবকিছুর জন্যই অনেক প্রত্যাশা থাকে। সে জায়গা থেকে ওমের সঙ্গে আমার জুটিটিও নতুন চমক হিসেবেই আসছে বলে মনে করি।

জাগো নিউজ : চলচ্চিত্রে নানা সমস্যার কথা শোনা যায়। যদিও সম্প্রতি ইতিবাচক কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। তবুও অভাব-অভিযোগের অনেক তালিকা। চলচ্চিত্র শিল্পের একজন শিল্পী হিসেবে এই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে আপনার দৃষ্টিতে কী পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে?
মিম : প্রথমেই বলবো সিনেমা হল বাড়াতে হবে। প্রত্যেক জেলায় অন্তত একটি করে ডুপ্লেক্স অথবা আকর্ষণীয় পরিবেশসমৃদ্ধ সিনেপ্লেক্স করতে পারলে চলচ্চিত্রে সুদিন ফিরবে। কেননা, আমাদের চলচ্চিত্র নির্মাণে এখন অনেক মুন্সিয়ানা এসেছে, নতুনত্ব এসেছে। দর্শক সেগুলো পছন্দ করছেন। আরও ভালো গল্প প্রয়োজন।

এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।