শেষ হলো স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব


প্রকাশিত: ০৬:৩৪ এএম, ০৯ অক্টোবর ২০১৬

শেষ হয়ে গেলো বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’।

এটির উদ্বোধন হয়েছিলো গত ২ অক্টোবর থেকে। গতকাল শনিবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টায় পুরস্কার প্রদান এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে এর সমাপনী ঘোষণা করা হয়।

গতকাল একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এর সমাপনী, পুরস্কার ও সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি সচিব আক্তারী মমতাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিদুল হক, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লায়লুন নাহার স্বেমি এবং চলচ্চিত্র গবেষক জনাব ফাহমিদুল হক। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জনাব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার জিতেছে মো. আবিদ মল্লিক পরিচালিত ‘পথ’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, সাদাত হোসাইন পরিচালিত ‘দি সুজ’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা, মো. মামুনুর রশীদ শ্রাবন পরিচালিত ‘মাটির পাখি’ বিশেষ জুরি পুরস্কার। প্রামাণ্য চলচ্চিত্র বিভাগে মকবুল চৌধুরী পরিচালিত ‘নট পেনি নট এ গান’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, ফারজানা ববি পরিচালিত ‘বিষকাঁটা’ শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা, ফৌজিয়া খান পরিচালিত ‘যে গল্পের শেষ নেই’ বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের লক্ষে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট ‘সিলেকশন কমিটি’ ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্র থেকে ১১টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবং ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়। সর্বসাকুল্যে ৮৪টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছিলো।

আর পুরস্কার প্রদানের লক্ষে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাছাইয়ের মাধ্যমে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হতে উভয় শাখায় (শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি) পুরস্কার প্রদান করা হয়।

পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র এর জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ২জনকে ২ লক্ষ টাকা এবং শ্রেষ্ঠ নির্মাতাকে ৫০ হাজার করে ২জনকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রাপ্তকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়। এছাড়াও যে সকল চলচ্চিত্র উৎসবের প্রদর্শনী করা হচ্ছে সে সকল চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।

এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।