চলে গেলেন আঁখি আলমগীরের নানী


প্রকাশিত: ০৮:১৩ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সংগীতশিল্পী আঁখি আলমগীরের নানী কবি ও সাহিত্যিক জোবেদা খাতুন। ২৭ সেপ্টেম্বর  মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর ইউনিভার্সেল কার্ডিয়াক হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল স্পেশালাইজড হাসাপাতাল) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নাইলাইহে রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিলো ৯৩ বছর।

মরহুম জোবেদা খাতুন ছিলেন আঁখি আলমগীরের মা বিশিষ্ট গীতিকবি খোশনূর বেগমের জননী।

নানীর মৃত্যুতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন আঁখি। কারণ নানীর সঙ্গে তার সখ্য ছিলো অন্তরের। আঁখি আলমগীর বলেন, ‘একটা সময় সবাই চলে যাবে এটা সত্যি। তবু কিছু প্রিয়জন থাকেন, যাদের ছাড়া বেঁচে থাকা অনেক কষ্টের। নানী আমার সেই প্রিয়জন। শৈশব থেকেই তার আদর-স্নেহে বড় হয়েছি। তাকে হারিয়ে ভালোবাসার বিশাল জায়গাটি আমার হারিয়ে ফেলেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘নানীর অনেক বয়স হয়েছিলো। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যাও ছিলো। কিন্তু নানীর চিকিৎসার দিক দিয়ে কোনো গাফিলতি ছিলো না। আমরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেছি নানীকে সুস্থভাবে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। সবাই দোয়া করবেন যেন আল্লাহ নানীকে বেহেশত নসীব করেন।’

এদিকে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, কবি জোবেদা খাতুন ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি বয়সজনিত কারণে ‘মাল্টিঅর্গান ডিসফাংশন’ ছিলো। হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসায়ও শেষ পর্যন্ত শেষ রক্ষা হয়নি। জোবেদা খাতুনের চার মেয়ে ও এক ছেলে। দেশের বাইরে অনেকেই অবস্থান করায় জোবেদা খাতুনের মরদেহ আইসিডিডিআরবি’র মর্গে রাখা হয়েছে। সন্তানরা দেশে ফিরলেই তার দাফন সম্পন্ন হবে।

আঁখি আলমগীর জানিয়েছেন, রাজধানীতেই তার দাফন সম্পন্ন হবে। তবে কবে দাফন করা হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।

প্রসঙ্গত, জোবেদা খাতুনের বড় মেয়ে ডা. খোদেজা। মেজ মেয়ে অধ্যাপক খালেতুন, একমাত্র ছেলে জাহাঙ্গীর মির্জা বিশিষ্ট তবলা বাদক। চতুর্থ সন্তান আঁখি আলমগীরের মা কবি খোশনূর বেগম এবং ছোট মেয়ে বিনু আহমেদ একজন কণ্ঠশিল্পী। এই সন্তানদের জন্য ‘আজাদ প্রোডাক্টস’ কর্তৃক প্রবর্তিত ‘রত্নগর্ভা মা’ পুরস্কার পেয়েছিলেন পাঁচ সন্তানের সফল জননী জোবেদা খাতুন।

এলএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।