শুরু হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব


প্রকাশিত: ০৭:০২ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বরাবরই একটু অনিয়মিত হলেও আজকাল বাংলাদেশে নিয়মিতই নির্মিত হচ্ছে মানসম্মত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই নির্মাণের অনেক আগ্রহ লক্ষ করা গেছে।

তাই স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ যোগাতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যেগে শুরু হচ্ছে ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’। এই উৎসব বাংলাদেশের সংস্কৃতি চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা শিল্পকলা একাডেমির।

‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এ মানসম্মত চলচ্চিত্র প্রক্ষেপণ এবং অনুধাবন করাসহ এর অন্তর্নিহিত ভাবের সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় দেশব্যাপী একযোগে ৬৪টি জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ২ থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এই উৎসব।

আগামী ২ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী সভাপতিত্ব করবেন। আর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, মোরশেদুল ইসলাম এবং জনাব মানজারে হাসীন মুরাদ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।    

বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণের লক্ষে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে। সেখান থেকে ৫ সদস্যবিশিষ্ট ‘সিলেকশন কমিটি’ ৩৫টি স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং ২৯টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্মিত উল্লেখ্যযোগ্য চলচ্চিত্র থেকে ১১টি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র এবং ৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচন করা হয়। সর্বসাকুল্যে ৮৪টি চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শনীতে স্থান পেতে যাচ্ছে বলে জানালেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।

শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত‘ ‘বাংলাদেশ স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৬’ এ সহযোগিতা করছে  ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম এবং বাংলাদেশ প্রামাণ্যচিত্র পর্ষদ।

পুরস্কার প্রদানের লক্ষে ৫ সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাছাইয়ের মাধ্যমে উৎসবে অংশগ্রহণকৃত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হতে উভয় শাখায় (শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা এবং বিশেষ জুরি) পুরস্কার প্রদান করা হয়। পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের জন্য ১ লক্ষ টাকা করে ২ জনকে ২ লক্ষ টাকা এবং শ্রেষ্ঠ নির্মাতাকে ৫০ হাজার করে ২ জনকে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। বিশেষ জুরি পুরস্কার প্রাপ্তকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হবে। এছাড়াও যে সকল চলচ্চিত্র উৎসবের প্রদর্শনী করা হচ্ছে সে সকল চলচ্চিত্রের সকল নির্মাতাকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আগামীকাল বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এলএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।