এ প্রজন্মের নায়কদের চোখে সালমান শাহ
ঢাকাই ছবির সোনালি অতীতের সাক্ষী সালমান শাহ। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে ধুমকেতুর মত তার আগমন ঢালিউডে। মাত্র ক’বছরের ক্যারিয়ারে তার ২৭টি ছবি মুক্তি পায়। বলা যায়, সালমান শাহের সব ছবিই ছিল সুপার ডুপার হিট!
তবে হঠাৎ কোনো এক কারণে সালমান শাহের অকাল মৃত্যু ঘটে। মৃত্যুর পর আজও সালমান বাংলা ছবির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আছেন। আজ সালমান শাহের ৪৫তম জন্মবার্ষিকী। তার কর্মগুণে এ প্রজন্মের নায়কদের কাছে তিনি আজও আইডল। হালের পাঁচ চিত্রনায়ক বললেন তাদের ভালোলাগা ও অভিনয়ের অনুপ্রেরণায় সালমান শাহকে নিয়ে-
আরেফিন শুভ
সালমান শাহ আমার দুই প্রজন্ম আগের নায়ক ছিলেন। তিনি যে সময়কার হার্টথ্রুব নায়ক তখন আমি খুব ছোট। স্কুলে যেতাম। তার কাজগুলো তখন বুঝতাম না। সেসময় আমি কার্টুন খুব পছন্দ করতাম। তবে বুঝতে শেখার পর দেখেছি যে তার কাজে নিজস্ব স্বকীয়তা ছিল। তার প্রতিভা ছিল গড গিফটেড। তিনি আমার কাছে একটা অনুপ্রেরণা। আজ তার জন্মদিন। জন্মদিনে অন্তর থেকে জানাই শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি।
নিরব
মিডিয়াতে কাজ করার শুরু দিকে ইচ্ছে ছিল ফিল্মে অভিনয় করবো এবং ফিল্মেই ক্যারিয়ার গড়বো। আর এই ইচ্ছেটার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছেন অমর নায়ক সালমান শাহ। কারণ তার অভিনয়-স্টাইল আমাকে সবসময় মুগ্ধ করে। বারবার তার ছবি দেখে মনে হতো আমিও ফিল্মে অভিনয় করবো। সেই থেকে আমার নায়ক হবার স্বপ্নের বুনন। এখন তো বাস্তব। আমার রুপালি পর্দার যাবতীয় অনুপ্রেরণা হলেন সালমান শাহ। তিনি আমাদের মাঝে মরেও অমর হয়ে আছেন। আজ তার জন্মদিনে প্রিয় নায়কের বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি।
সাইমন
সালমান শাহ শুধু নায়ক হিসেবে নয়, আমি শুনেছি তিনি মানুষ হিসেবেও খুব ভালো ছিলেন। বেঁচে থাকলে চলচ্চিত্রের বাইরে হয়তো অনেক সামাজিক কাজেও তিনি অবদান রাখতেন। তার সময়ে বাংলা ছবির জৌলুস ছিল। তার মুক্তিপ্রাপ্ত সব ছবিই আমি দেখেছি। এছাড়া ৯০ দশকে তার স্মার্টনেস, স্টাইল আজও নতুন বলে মনে হয়! যদি সালমান শাহ আজ বেঁচে থাকতেন আমাদের বাংলা ছবি হয়তো আরো সমৃদ্ধ হতো। তিনি নেই তার স্মৃতিগুলো আছে। ৪৫ তম জন্মদিনে সালমান শাহকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা।
রোশন
সালমান শাহ যখন সুপার হিট নায়ক আমি তখন অনেক ছোট। বড় হয়ে তার ছবি দেখে, ছবির গানগুলো শুনে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু তিনি নেই, এটা ভাবতেই কেন জানি ইমোশনাল হয়ে যাই! তার ফিগার, হেয়ার স্টাইল, চাহনি, কথা বলা, ডায়ালগ থ্রু করা, ফ্যাশন- সবকিছুই ছিল একেবারে ইউনিক। তার সবকিছুই আমার ভালো লাগে, আমাকে উৎসাহ দেয়। এককথায় ‘সালমান শাহ ইজ মাই আইকন’। শুভ জন্মদিন সালমান শাহ।
আসিফ নূর
আমার খুব স্পষ্ট মনে আছে যে শুক্রবার ছুটির দিনে বাবা-মায়ের সঙ্গে সিনেমা হলে গিয়ে সালমান শাহের ছবি দেখেছি। বাসায় টেলিভিশনে তার গান দেখতাম। তিনি থাকাকালীন চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের একটা অন্যরকম আগ্রহ ছিল, তারপর কিছুটা বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সালমান শাহকে নিয়ে কিছু বলতে গেলেও সেটা হয়তো কম হয়ে যাবে। তার অভিনয়ের আদর্শকে আমি লালন করি। আজ তার জন্মদিন। তার বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করি।
এনই/এলএ/এমএস