চলে গেলেন অভিনেতা ফরিদ আলী


প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ২২ আগস্ট ২০১৬

দীর্ঘদিন অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন বরেণ্য অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আলী। আজ সোমবার (২২ আগস্ট) বিকেল ৪টায় তিনি মিরপুর হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওইন্নালিল্লাহি রাজিউন)।

ফরিদ আলীর ছোট ছেলে ইমরান আলী জয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী-সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

ফরিদ আলী ছিলেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রথম নাটকের শিল্পী এবং তৃতীয় নাটকের নাট্যকার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। শেষ দিকে তার দুটি পা অবশ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও ফুসফুসে পানি জমে হার্টের অবস্থাও ছিল নাজুক। অবশেষে সব কিছুর অবসান হলো। চিরতরে মুক্তির দেশে রওনা হয়েছেন প্রিয় এই অভিনেতা।

কয়েক মাস আগে এই অভিনেতার চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যক্তিগতভাবে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার নির্দেশেই হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে তার চিকিৎসা হয়েছিল।

অভিনেতা ফরিদ আলী একাডেমিক শিক্ষায় তেমন অগ্রসর না হয়েও অভিনয় জগতে দেখিয়েছেন পারদর্শিতা। কৌতুক অভিনয়ে তিনি দর্শকদের মনে এখনও অনবদ্য। বিশেষ করে ‘টাকা দেন দুবাই যাব, বাংলাদেশে থাকবো না’ এই সংলাপটির সাথে যারা পরিচিত তারা এক বাক্যেই উচ্চারণ করবেন অভিনেতা ফরিদ আলীর নাম।

শুধু অভিনয় নয়, নাটক লেখা ও নির্দেশনায়ও সিদ্ধহস্ত ছিলেন এই শিল্পী। শহীদুল আমীনের লেখা ‘কনে দেখা’ নাটকে একটি মাত্র নারী চরিত্রে অভিনয় করে ১৯৬২ সালে তিনি অভিনয়ে যাত্রা শুরু করেন। অসংখ্য মঞ্চ নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক মুনীর চৌধুরীর লেখা ‘একতলা দোতলা’ নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৬৪ সালে তিনি প্রথম টিভিতে অভিনয় করেন। তার নিজের লেখা প্রথম টিভি নাটক ‘নবজন্ম’।

ফরিদ আলীর চলচ্চিত্রে পদার্পণ ১৯৬৬ সালে আমজাদ হোসেনের ‘ধারাপাত’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে। তখন থেকে একাধারে বহু ছবিতে তিনি অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জীবন তৃষ্ণা, স্লোগান, চান্দা, দাগ, অধিকার ইত্যাদি।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।