শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘দিবানিশি’
শুক্রবার ২৩ জানুয়ারি থেকে প্রচার শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘দিবানিশি’। শুক্র ও শনিবার রাত ৮টায় এটিএন বাংলায় প্রচার হবে নাটকটি। তরঙ্গ আনোয়ারের রচনায় নাটকটি যৌথভাবে পরিচালনা করেছেন রাজু খান এবং তরঙ্গ আনোয়ার।
বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডলি জহুর, খায়রুল আলম সবুজ, আজিজুল হাকিম, আহমেদ রুবেল, আব্দুলাহ রানা, মুনমুন আহমেদ, জয়রাজ, শামীম জামান, ফারজানা ছবি, হুমায়রা হিমু, রওনক হাসান, শম্পা হাসনাইন, সাব্বির আহমেদ প্রমুখ।
জমিদার প্রথা চলে গেল, আটঘড়িয়ার জমিদার সরফরাজ আলী মিয়া দূর্বিসহ অবস্থায় পড়ে ধীরে ধীরে তার শানসৌকত হারাতে থাকলো। মেঝ জমিদার শরীফুল বিবাহিত স্ত্রী রেখে লন্ডন চলে যাবার পর বহুদিন তার খবর নেই। তার স্ত্রী নাফিজাকে জমিদার বাগান বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ছোট জমিদার স্বরাজ আলী মিয়া বিবাহিত স্ত্রী রেখে বাঈজি তৃষ্ণায় জলসা ঘরে মদ আর নাচ নিয়েই সময় কাটায়। বড় বউ সবার কাছে বড় মা হিসেবেই পরিচিত। সর্বংসহা বড় মার কর্তৃত্বে সবাই উজ্জীবিত থাকে। একদিন জামিদারের বিধবা বড় বোন এবং ভাগ্নে জমিদারীর সম্পত্তি ভাগের চক্রান্ত নিয়ে বাড়িতে আসে। বড় বোন বড় বুজি ছোট ভাই স্বরাজকে তার পক্ষে নিয়ে আসার জন্য বিবিধ কৌশল করে।
বড় জমিদার অর্থাৎ বড় হুজুরের দুই কন্যা ও এক ছেলে। ছেলে সাদি আহমেদ ঢাকায় থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। শরমিন নামে একটি মেয়ে সাদির স্ত্রী পরিচয়ে জমিদার বাড়িতে প্রবেশ করে সংশয়ের সৃস্টি করে। বড় হুজুরের মেঝ মেয়ে বিবাহিত, ছোট মেয়ে জয়ন্তী ঢাকায় কলেজে পড়ে। ঢাকায় যাওয়া আসার জন্য এক সময়ের পেয়াদা হইবর শেখের ছোট ছেলে হাসিবকে দিয়ে জয়ন্তীকে আনা নেওয়া করে। হাসিবও ঢাকায় লেখা পড়া করে।
এদিকে প্রাক্তন পেয়াদা হইবর শেখ বড় বুজির সাথে চক্রান্ত করে জমিদারদের জমি পত্তন নিতে থাকে। এক সময় জমিদারদের সব সম্পদ ক্রয় করে। হইবর শেখের ছেলে হাসিবের সাথে জমিদার কন্যা জয়ন্তীর ইচ্ছায় বিবাহ হয়, জমিদার হাসিবকে সায়েস্তা করার জন্য থানা পুলিশ করে। এভাবে বিভিন্ন চড়াই উৎরাইয়ের ভেতর দিয়ে দুই তিনটি কাল অতিবাহিত হয়। মানুষের জীবন যাপনে উত্থান পতনের ধারাবাহিকতায় গল্প এগিয়ে যেতে থাকে।
এমএএস