বিশ বছরের পুরনো ছবিতে রিয়াজ-ফেরদৌস ও দেবাশীষের চমক


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ২৭ জুলাই ২০১৬

বাংলা চলচ্চিত্রে প্রায় একই সময়ে আগমন দুই চিত্রনায়ক রিয়াজ ও ফেরদৌসের। সে প্রায় ৯৪-৯৫ সালের দিকের ঘটনা। সালমান শাহ থাকাকালীন সময়ে তাদের যাত্রা হলেও এই দুই নায়কের উপর ভর করে সালমান হারানোর শোক কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলো তৎকালীন ছবির প্রযোজক-নির্মাতা থেকে শুরু করে দর্শকরাও।

পর্দায় রিয়াজ-ফেরদৌস একসঙ্গেও হাজির হয়েছেন বেশ কয়েকবার। আর পর্দার বাইরেও দুজনের সম্পর্কটা চমৎকার এক বন্ধুত্বের; এ কথা সবারই জানা।

অন্যদিকে দেবাশীষ বিশ্বাস তার ক্যারিয়ার উপস্থাপক হিসেবে শুরু করলেও চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেও তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। বাবা কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার দিলীপ বিশ্বাসের পুত্র হিসেবে জন্ম থেকেই তিনি বেড়ে ওঠেছেন চলচ্চিত্রের মানুষদের আদর-আশীর্বাদে। সেই সুবাদে যৌবনের শুরুতে নিয়মিতই তার যাতায়াত ছিলো চলচ্চিত্রপাড়ায়। নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে সম্পর্ক গড়ে ওঠেছিলো ইন্ডাস্ট্রির দুই হার্টথ্রুব রিয়াজ ও ফেরদৌসের সঙ্গে। অনেক গল্প হতো, আড্ডা হতো।

তারই প্রমাণ মিললো সম্প্রতি দেবাশীষ বিশ্বাসের ফেসবুকে প্রকাশ হওয়া বিশ বছরের পুরনো এক ছবিতে। সেখানে দেখা গেছে রিয়াজ, দেবাশীষ ও ফেরদৌসকে। ছবিটি একদম চমকে দিয়েছে সবাইকে। প্রথম দেখায় চেনাই যায় না কাদের দেখছি। কষ্ট করে রিয়াজকে চেনা গেলেও ফেরদৌস ও দেবাশীষ বিশ্বাস একেবারেই বদলে গেছেন রাত-দিনের ব্যবধানের মতো।

ছবিটি সম্পর্কে দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, ‘ছবিটি সোনারগাঁওয়ে তোলা। আলোকচিত্রী সম্ভবত তৎকালীন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা সোনিয়া। এটি ১৯৯৬ সালে তোলা হয়েছিলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘মাঝেমধ্যে অতীতে ফিরতে ভালো লাগে। অতীত জীবনের চমৎকার এক আয়না। বহুদিন পর ছবিটি দেখে ভালো লাগলো। তাই ভাবলাম সবার সঙ্গে শেয়ার করি। সময় অনেক দূর গেছে। অনেক বদলে গেছি আমরা। তবু সম্পর্কটা তো সেই আগেরই।’

প্রসঙ্গত, দেবাশীষ বিশ্বাস ২০০১ সালে নির্মাণ করেন তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’। তার এই ছবিতে তিনি শাবনূরের বিপরীতে রিয়াজকে নিয়ে কাজ করেছিলেন। এরপর ২০০৯ সালে তিনি রিয়াজ ও ফেরদৌসকে একসঙ্গে নিয়ে নির্মাণ করেন ‘শুভবিবাহ’ ছবি। এতে নায়িকা হিসেবে ছিলেন অপু বিশ্বাস ও নিপুণ।

এলএ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।