শাকিবের তুলনা হয় না : শ্রাবন্তী

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ২২ জুন ২০১৬
ছবি তুলেছেন মাহবুব আলম

টালিগঞ্জের নায়িকা শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকায় এসেছেন গতকাল মঙ্গলবার সকালের ফ্লাইটে। তবে কোনো ছবির শুটিংয়ে নয়, তার অভিনীত যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত `শিকারী` ছবির প্রচারণায় অংশ নিতেই মাত্র দু`দিনের সফরে ঢাকায় আসেন এই নায়িকা। শ্রাবন্তী ঢাকায় এসে উঠেছেন রাজধানীর একটি হোটেলে। একদিন বিশ্রাম নিয়ে বুধবার বিকেলে ঢাকা ক্লাবে হাজির হন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন চিত্রনায়ক শাকিব খান, জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ, এসকে মুভিজের কর্ণধার অশোক ধানুকাসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই। সেখানেই শ্রাবন্তী কথা বললেন জাগো নিউজের সঙ্গে...

জাগো নিউজ : দ্বিতীয়বার বাংলাদেশে এলেন। কেমন লাগছে?
শ্রাবন্তী : দারুণ। বাংলাদেশে আমার এত ভক্ত আছে সেটা এখানে না এলে ভালোভাবে জানা হতো না। তাছাড়া অল্প সময়েই বুঝে গেছি এদেশের মানুষ ভীষণ অতিথিপরায়ণ। সত্যি বাংলাদেশের মানুষের আপ্যায়নে আমি মুগ্ধ।

জাগো নিউজ : কোথাও বেড়াতে যাননি?
শ্রাবন্তী : না না। আমি এয়ারপোর্ট থেকে সোজা জাজের অফিসে গিয়েছি। সেখান থেকে হোটেলে উঠেছি। হোটেল থেকে এখানে (ঢাকা ক্লাবে) সংবাদ সম্মেলনে এলাম।

shakib
জাগো নিউজ : ঢাকায় এসে প্রথমে কী খেলেন?
শ্রাবন্তী : ইলিশ মাছ। ওটা গতকাল দুপুরে পেটপুরে খেয়েছি। সঙ্গে পাঁচটা কাঁচালঙ্কা ছিল। এখানকার ইলিশের স্বাদ আমাদের কলকাতার চেয়ে অনেক ভালো। এত সুস্বাদু ইলিশ খাওয়ানোর জন্য আজিজ ভাইকে থ্যাংকস।

জাগো নিউজ : গতবার এসে বলেছিলেন আপনার পৈতৃকবাড়ি বরিশাল। যাওয়ার ইচ্ছেও পোষণ করেছিলেন...
শ্রাবন্তী :  আমার বংশধর এবং মায়ের বংশধর সব্বাই কিন্তু বরিশালের। সেখানে যেতে তো ইচ্ছা হয়। কিন্তু সময় সুযোগের অভাবে হয়ে ওঠে না। তাছাড়া অনেক ব্যস্ততার মাঝেও এবার মাত্র দুটো দিন হাতে নিয়ে ঢাকায় এসেছি। দেখা যাক হয়তো আগামীতে যাবো।

জাগো নিউজ : এবার জানতে চাই সহশিল্পী হিসেবে শাকিব খানকে কেমন মনে হলো?
শ্রাবন্তী : শাকিবের সঙ্গে কাজ করে খুবই ভালো লেগেছে। সে খুব ভালো অভিনয় করে। সংলাপ দেয়ার সময় চোখ-মুখের অভিব্যক্তি অসাধারণ। আর মারামারির দৃশ্যও দুর্দান্ত পটু সে। সবমিলিয়ে বলবো সহশিল্পী হিসেবে শাকিবের তুলনা হয় না।

shakib
জাগো নিউজ : শুটিংয়ের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শ্রাবন্তী : আমাদের প্রথমদিন শুটিং হয় বোলপুর (ইন্ডিয়া)। সেদিন রাহুল দেবের সঙ্গে অ্যাকশনের দৃশ্য ছিল। তবে আমার সেদিন খুব বেশি ক্যামেরার সামনে আসতে হয়নি। আর ওই সময়টাতে প্রচুর গরম ছিল। এখানে একটা মজার ব্যাপার আছে। সেটা হচ্ছে প্রথম দিন দেখেছি শাকিব ইউনিটে একেবারেই চুপচুপ, শান্তশিষ্ঠ। আমি তাকে বলি, কী ব্যাপার? তুমি কথা বলছো না কেন? তারপর সে নড়েচড়ে বসে।

জাগো নিউজ : সম্প্রতি ‘হারাবো তোকে’ এবং ‘শিকারী’র টিজার প্রকাশ পেয়েছে। ওপার বাংলায় সাড়া পেলেন কেমন?
শ্রাবন্তী : শুধু ওপার বাংলায় না দুই বাংলায় রীতিমত ঝড় তুলেছে গানটি। যেটি ইউটিউব এবং সোশ্যাল মিডিয়া ঘাটলে বোঝা যায়। আমি মনে করি শিকারী ছবি সুপারহিট হওয়ার প্রথম ধাপ এটি। আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না, এতো অল্প সময়ে গানটি দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে। আমার দিদিকে জিজ্ঞাসা করেছি, ইউটিউবে যা আসে তা সত্যি তো! কলকাতার বাংলা ছবির গানে তো নয়-ই, হিন্দি ছবির গানেও অল্প সময়ে ইউটিউবে এতো দর্শক খুব একটা দেখা যায় না। আমার বন্ধু দেব, অঙ্কুশসহ অনেকেই শাকিব ও আমাকে প্রশংসা করে টুইট করেছেন, ফেসবুকে লিখেছেন। এছাড়া বাংলাদেশে আমার অনেক ভক্ত দর্শক আছেন, তারাও প্রতিনিয়তই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখছেন যে, তারা ছবিটি মুক্তি পর্যন্ত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।

shakib
জাগো নিউজ : শোনা যাচ্ছে আগামীতে ঢাকাই ছবিতে অভিনয় করবেন?
শ্রাবন্তী : ভালো মানের গল্প এবং বিগ বাজেট হলে অবশ্যই করবো। প্রাথমিকভাবে কয়েকজন আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আমি হ্যাঁ-না কিছুই জানাইনি। শুধু বলেছি অপেক্ষা করতে। আরো বলেছি, যেকোনো বাণিজ্যিক ছবিতে আমি কাজ করতে আগ্রহী। আগে `শিকারী` ছবিটি মুক্তি পাক তারপর দেখি কতটা সফলতা আসে।

জাগো নিউজ : `শিকারী` ছবিটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা জানতে চাই...
শ্রাবন্তী : এটি আমার অভিনীত প্রথম যৌথ প্রযোজনার ছবি। সুতরাং এটা নিয়ে আমার প্রত্যাশা যে কতখানি সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। তাছাড়া গত পূজোয় আমার অভিনীত দেবের সঙ্গে `শুধু তোমারই জন্য` ছবিটা মুক্তি পায়। ওটা সুপারহিট হয়। এর ফাঁকে মুক্তি পেয়েছে `কাঠমান্ডু` ছবিটি। এবার আসছে `শিকারী`। এই ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহেও আমার অভিষেক হতে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে আমি ছবিটির সাফল্যের জন্য আশাবাদী।

এনই/এলএ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।