স্টার সিনেপ্লেক্সে আসছে আলোচিত ছবি ফাইন্ডিং ডোরি


প্রকাশিত: ০৮:৩০ এএম, ২১ জুন ২০১৬

বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় এক চরিত্রের নাম ‘ডোরি’। যার ফেসবুকে পেজে লাইকের সংখ্যা আড়াই কোটিরও বেশি! ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স কিংবা পিক্সার অ্যানিমেশন স্টুডিওসের ছবির আর কোনো চরিত্রের এতো ভক্ত নেই।

২০০৩ সালের ‘ফাইন্ডিং নেমো’র মধ্য দিয়ে রূপালি পর্দায় আসে নীল রঙা এই মাছ। দর্শকের মন জয় করার পাশাপাশি অস্কারে সেরা অ্যানিমেটেড ছবির পুরস্কার জিতে নেয় ছবিটি। এরপরই শুরু হয় পরবর্তী সিক্যুয়ালের অপেক্ষা। যেই অপেক্ষার সময় দীর্ঘ হয় ১৩ বছর। অবশেষে পর্দায় এসেছে ‘ফাইন্ডিং ডোরি’। গত ১৭ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। আর বাংলাদেশের দর্শকরা স্টার সিনেপ্লেক্সে ছবিটি দেখতে পাবেন ২৪ জুন থেকে।

প্রথম ছবি শেষ হওয়ার ছয় মাস পরের ঘটনা দেখানো হয়েছে এতে। যার মানে ১৩ বছরকে গল্পে কমিয়ে আনা হয়েছে মাত্র ছয় মাসে। এবারও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন অ্যান্ড্রু স্ট্যানটন। তবে এবার তার সঙ্গে ছিলেন আরেক পরিচালক অ্যাঙ্গাস ম্যাকলেন। অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌথভাবে চিত্রনাট্য সাজিয়েছেন ভিক্টোরিয়া স্ট্রাউস ও বব পিটারসন। এবার তারা গল্প সাজিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলকে ঘিরে।

বন্ধুসুলভ কিন্তু মনভোলা নীল মাছটির সঙ্গে তার বন্ধুদের পুনর্মিলন দেখা যাবে এবারের ছবিতে। সাধাসিধে মাছের স্মৃতিশক্তি লোপ পায় ১০ সেকেন্ড পরপর। তবে তার এটুকু মনে আছে- শৈশবে যে কোনো কারণে মা-বাবার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে সে। দুই বন্ধু নেমো ও মারলিনের সহায়তায় মা-বাবাকে খুঁজে বের করার দুঃসাহসিক ও রোমাঞ্চকর অভিযানে নামে ডোরি।

একসময় তারা হাজির হয় কাঁচঘেরা মন্টারি মেরিন লাইফ ইনস্টিটিউটে। এখানে সাগরতলের বিচিত্র সব প্রজাতি সংরক্ষণ করা হয়। ডোরি বুঝে যায়, এই কাচঘেরা জগতেই হয়তো আছে তার মা-বাবা। পরিবারের সঙ্গে তার দেখা হতে পারে যদি সে মা-বাবাকে বন্দিদশা  থেকে মুক্ত করতে পারে। এখানে ডোরির গাইড হিসেবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সাদা বিশালাকার তিমি বেইলি, হাঙ্গর ডেস্টিনি ও অক্টোপাস হ্যাঙ্ক। ডোরি ছাড়াও প্রথম ছবির নেমো, মারলিন, মিস্টার রে, ক্রাশ ও স্কুইয়ার্ট এবারও আছে।

ডোরির চরিত্রে কন্ঠ দিয়েছেন এলেন ডিজেনারেস। আগেরটিতে নেমো চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছিলেন আলেক্সান্ডার গুল্ড। এবার নেমো হিসেবে আছেন হেডেন রোলেন্স। এ ছাড়াও কণ্ঠ দিয়েছেন এড ও’নেইল, টাই বারেল, কেইটলিন ওলসন, আলবার্ট ব্রুকস, ডায়েন কিটন, ইউজিন লেভি, মাইকেল শিন।

ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে নির্মিত কম্পিউটার অ্যানিমেটেড কমেডি অ্যাডভেঞ্চার ছবিটি ইতোমধ্যে সমালোচকদের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। যার ওপর ভিত্তি করে রোটেন টমেটোস ‘ফাইন্ডিং ডোরি’কে ৯৪ শতাংশ রেটিং দিয়েছে।

এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।