ব্যাংকগুলো বেশি সুদ নেয়: গভর্নর


প্রকাশিত: ০১:০৪ পিএম, ২২ জুলাই ২০১৪

ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হারের চেয়ে ব্যাংকগুলো বেশি সুদ নেয়। এটি একটি অনিয়ম।  ছোট হোক অথবা বড় হোক তা ব্যাংকের নিরীক্ষা প্রতিবেদনে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে বলে মন্তব্য করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত তফসিলি ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে এক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাহী প্রধানদের সতর্ক করে ড.আতিউর বলেন, ঋণ শৃঙ্খলায় কোনো ব্যত্যয় ঘটলে বাংলাদেশ ব্যাংক কঠোর ব্যবস্থা নিতে দ্বিধা করবে না। ঋণ প্রদানে আরো সতর্ক হোন। আপনারা অনিয়ম করে বসে থাকবেন আর বাংলাদেশ ব্যাংক পরে গিয়ে তা ধরবে, এটি হলে অনিয়মের পুনরাবৃত্তি রোধ হবে না।

আপনাদের পাঠানো তথ্য মতে কোনো ব্যাংকের ঋণের সুদ হার এখনো অতিরিক্ত মাত্রায় রয়েছে। গ্রাহকদের আমানত ও ঋণ হিসাব পরিচালনায় যথাযথ ব্যাংকিং নিয়মাচার অনুশীলনের ঘাটতি রয়েছে যা শুধু সার্কুলার জারি করে সমাধান করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গভর্নর এ সময় বলেন, ঋণ হিসাবের ক্ষেত্রে সুদ বাড়ানো হলে তা গ্রাহককে জানানো হয় না। ঋণ হিসাবের সুদ কমে গেলে তা গ্রাহকের হিসাবে সমন্বয় করা হয় না। ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গ্রাহক ঋণ পরিশোধ করলে এটিকে গ্রাহকের পারফরম্যান্স বিবেচনায় রিবেট দেওয়ার প্রথা থাকলেও তা হয় না। বরং আর্লি সেটেলমেন্ট চার্জ হিসেবে বাড়তি সুদ আরোপ করা হয়।

তিনি তফসিলি ব্যাংকগুলোকে শিল্প খাতে ঋণের সুদহার  হ্রাস করার পরামর্শ দেন। রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আরো বেশি হতে পারতো বলে মনে করেন তিনি।

দেশীয় ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগ কমার কারণ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কম হলেও বিভিন্ন উৎস হতে বৈদেশিক ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। মূলত আমদানিকারকগণ বিদেশ থেকে সহজ শর্তে ও কমসুদে ঋণ পাওয়ায় দেশীয় উৎস থেকে ঋণের চাহিদা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

তিনি এ সময় ব্যাংকের মধ্যে শুদ্ধাচার, সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরো উন্নত করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করতে বাংলাদেশের দেশি-বিদেশি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।