শুক্রবার থেকে স্টার সিনেপ্লেক্সে একসঙ্গে দুই ছবি
একসঙ্গে দু’টি হলিউড ব্লকবাস্টার ছবি মুক্তি পেতে যাচ্ছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে। ‘দ্য কনজ্যুরিং’র কাঙ্খিত সিক্যুয়াল ‘দ্য কনজ্যুরিং-২’ এবং ‘ওয়ারক্রাফট’ নামের ছবি দু’টি এই মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পাবে আগামী শুক্রবার, ১৭ জুন।
এর আগে গেল ১০ জুন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় ছবিগুলো। সত্যি ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ‘দ্য কনজ্যুরিং-২’ এবং নতুন যুদ্ধকৌশলের ছবি ‘ওয়ারক্রাফট’ মুক্তির পর থেকে দর্শকমহলে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়। যার প্রভাব মিলেছে বক্সঅফিস রিপোর্টেও। ৪০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ‘দ্য কনজ্যুরিং-২’ এরইমধ্যে আয় করেছে প্রায় ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে ১৬০ মিলিয়ন ডলারের ছবি ‘ওয়ারক্রাফট’ এ যাবৎ ঘরে তুলেছে ৩০৪ মিলিয়ন ডলার।
২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া ভৌতিক ছবি ‘দ্য কনজ্যুরিং’ দর্শকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলো। তারপর থেকেই শুরু হয় পরবর্তী ছবির অপেক্ষা। আগের ছবির মতো এবারের ছবিটিও পরিচালনা করেছেন জেমস ওয়ান। অভিনয় করেছেন প্যাট্রিক উইলসন, ভেরা ফারমিগা, ফ্রান্সিস ও’কনর, সাইমন ম্যাকবার্নিসহ আরও অনেকে।
ভূত আছে কি নেই তা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে মানুষ ভয় পেতে ভালোবাসে- এ কথা মনোবিজ্ঞানীরাও মনে করেন। ভয়ে দু’হাত দিয়ে চোখ ঢেকে ফেললেও আঙুলের ফাঁক দিয়ে সাংঘাতিক দৃশ্যটা দেখতেও যেন ভুল করে না। তাই তো তাবৎ বিশ্বে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ভৌতিক ছবির এত জনপ্রিয়তা।
সত্তর দশকের বিখ্যাত মার্কিনি পরাবাস্তব বিশেষজ্ঞ-গবেষক (প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর) এড ওয়ারেন এবং তার স্ত্রী লোরেন ওয়ারেন তাদের দীর্ঘ কর্ম জীবনের হাজারেরও বেশি অভিজ্ঞতার একটিকে নিয়ে নির্মিত ‘দ্য কনজ্যুরিং’ মন জয় করে নেয় বিশ্বের তাবৎ চলচ্চিত্র সমালোচকেরও।
২০০৬ সালে প্রয়াত হন এড ওয়ারেন। ৮৯ বছরের লোরেন ওয়ারেন অবশ্য এখনও গবেষণা চালাচ্ছেন। এই ওয়ারেন দম্পতির অন্য একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করে নির্মিত এই সিরিজের দ্বিতীয় ছবিটি নিয়ে তাই প্রত্যাশা রয়েছে যথেষ্ট। ওয়ারেন দম্পতির হাড় হিম করা এই অভিজ্ঞতা দর্শককে রোমাঞ্চিত করবে, শিহরিত করবে বলে বিশ্বাস নির্মাতাদের।
গত সিরিজের মতই এবারও অলৌকিক ও ভৌতিক শক্তির খোঁজে দেখা যাবে প্যাট্রিক উইলসন ও ভেরা ফারমিগাকে। বাস্তবের চরিত্র ওয়ারেন দম্পতির ভূমিকাতে অভিনয় করছেন তারা। প্রথম পর্বে নিজেদের অতীতের এক ভৌতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে লড়াই করছিলেন ওয়ারেন দম্পতি। এবারও সেই লড়াই চলবে।
অন্যদিকে নতুন যুদ্ধ কৌশলে শত্রুকে পরাহত করে পৃথিবীকে রক্ষার দুধর্ষ কাহিনির ছবি ‘ওয়ারক্রাফট’। জনপ্রিয় ভিডিও গেম সিরিজ ‘ওয়ারক্রাফট’ অবলম্বনে নির্মিত ছবিটি পরিচালনা করেছেন ডানকান জোনস। চিত্রনাট্য করেছেন চার্লস লেভিট ও ক্রিস মেটজেন।
ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে ওর্কের সঙ্গে মানবের লড়াইকে কেন্দ্র করে। এ ছবির মাধ্যমে হলিউডের অনেকেই যুক্ত হচ্ছেন নতুন সুপারহিরো ছবির তালিকায়। যার মধ্যে রয়েছেন ট্রাভিস ফিমেল, পলা প্যাটন, বেন ফস্টার, ডমিনিক কুপার, টবি কেবেল প্রমুখ। এরমধ্যে ট্রাভিস ফিমেল অভিনয় করছেন স্যার অ্যানডুইন লুথারের ভূমিকায়। তিনি দুই প্রতিপক্ষ দেশের মধ্যে মৈত্রী সংগঠনের ভূমিকা পালন করেন।
দুর্বার সাহসী এ নায়ক তার রাজ্য রক্ষার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে লড়াই করেন। পলা প্যাটনকে দেখা যাবে দ্বৈত এক নারীর চরিত্রে। তার বিশ্বাস, তিনি অর্ধেক মানুষ, অর্ধেক ওর্ক। ছবির প্রতিটি চরিত্রই রহস্যময়। বেন ফস্টার জাদুবিদ্যায় পারদর্শী। গোপন এ ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি অনেককে রক্ষা করেন। ডমিনিক কুপার অভিনয় করেছেন অন্ধকারের আশ্রয়দাতা হিসেবে। রাজ্য যখন গভীর বিপদে বা অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলে, তখন হঠাৎ আলো হাতে উপস্থিত হন তিনি।
তবে এ সিরিজের অন্যতম চরিত্র ডুরোটনের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন টবি কেবেল। তিনি যাযাবর হর্ড জাতির মূল নেতা। শ্যাডো কাউন্সিল এবং তাদের পৃথিবী ধ্বংসের কবল থেকে নির্বাসিত এবং বাকি ওর্কদের রক্ষা করার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
এলএ/এমএস
