১৬ জুন মাহির কথিত স্বামী শাওনের জামিন শুনানি


প্রকাশিত: ১১:২০ এএম, ০৫ জুন ২০১৬

ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়িকা মাহিয়া মাহির (প্রকৃত নাম শারমিন আক্তার নীপা) কথিত স্বামী শাহরিয়ার ইসলাম শাওনের জামিন আবেদনের শুনানির আগামী ১৬ জুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

রোববার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম এ তারিখ ধার্য করেন।

জানা গেছে, গত ৩১ মে মাহির সঙ্গে শাওনের বিয়ের কাবিননামা আদালতে হাজির করেন শাওনের আইনজীবী মো. বেলাল হোসেন। তিনি দাবি করেন, একজন স্বামী বর্তমান থাকতে তাকে ডিভোর্স না দিয়ে আরেকটি বিয়ে করে অন্যায় করেছেন মাহি। সেইসঙ্গে শাওনের বিরুদ্ধে মাহির মামলা করাও ঠিক হয়নি বলে মনে করেন তিনি। এসময় এই আইনজীবী শাওনের জামিন চান। কিন্তু ঢাকা সিএমএম আদালত শাওনের জামিন আবেদন নাকচ করে দেয়।

পরে ট্রাইব্যুনালে জামিনের আবেদন করেন শাওনের আইনজীবী। সেই প্রক্ষিতেই তার জামিন আবেদনের জন্য নতুন শুনানির দিন ধার্য করেছে ট্রাইব্যুনাল।   

শাওনের আইনজীবী আদালতে জানান, ২০১৫ সালের ১৫ মে শারমিন আক্তার নীপা ওরফে মাহিয়া মাহির সঙ্গে পারিবারিকভাবে শাওনের বিয়ে হয়। বাড্ডা কাজী অফিসের কাজী মোহাম্মাদ সালাহউদ্দিন এই বিয়ে পড়ান। আইন অনুযায়ী মাহি শাওনের স্ত্রী। মুসলিম আইন অনুযায়ী স্বামী বর্তমান থাকায় তিনি (মাহি) দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। যেহেতু বৈধভাবে বিয়ে হয়েছে, তাই শাওনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা মাহির বেআইনি হয়েছে।

গত ২৭ মে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মাহি এ মামলা করেন। ২৮ মে গ্রেপ্তার করা হয় শাওনকে।

মামলায় বলা হয়, গত ২৫ মে তার (মাহিয়া মাহির) বিয়ে হয়। গত ২৭ মে তার বন্ধু আসামি শাহরিয়ার শাওনের সঙ্গে তার কিছু ছবি কয়েকটি অনলাইন নিউজপোর্টাল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। দাম্পত্য সম্পর্ক নষ্ট ও তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে তারা এসব করছেন। ঘটনার সঙ্গে শাহরিয়ার ছাড়াও তার (শাহরিয়ার) বন্ধু হাসান, আলামিন, খাদেমুল ও শাহরিয়ারের খালাতো ভাই রেজওয়ান জড়িত বলে মাহির ধারণা।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। তারপরই ফেসবুকে প্রকাশ হয় শাওন ও মাহির বিয়ের ছবি।

এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।