মাহির কথিত স্বামী শাওন দুই দিনের রিমান্ডে


প্রকাশিত: ০৯:১১ এএম, ৩০ মে ২০১৬

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির বিয়ের পর তার কিছু আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে প্রকাশ পায় গেল ২৭ মে। এগুলো প্রকাশ হয় শাওন নামের এক যুবকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে।

ছবিতে দেখা যায় শাওনের সঙ্গে মাহির অন্তরঙ্গ কিছু দৃশ্য। সেখানে দাবি করা হয়, এগুলো মাহির বিয়ের ছবি। মাহি অনেক আগে শাওনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেছিলেন।

ছবি প্রকাশের পর তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় শোবিজে। মাহিকে নিয়ে তৈরি হয় অনেক আলোচনা ও সমালোচনা। তবে ছবিগুলো ভুয়া দাবি করে এটিকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দেন মাহি। পাশাপাশি এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও ঘোষণা দেন তিনি। এতে স্বস্তি ফিরে আসে চলচ্চিত্রাঙ্গন ও মাহি ভক্তদের মনে।

অবশেষে জানা গেল, এ ঘটনায় মাহির কথিত স্বামী শাওনের নামের মামলা করেছেন মাহি। সেই প্রেক্ষিতে রোববার (২৯ মে) শাওনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বর্তমানে শাওন দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

এমন খবর জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন শাখার সহকারী কমিশনার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে চিত্রনায়িকা মাহিকে জড়িয়ে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অভিযোগে শাওন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।’

হাফিজুর রহমান জানান, ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে শাওন জানিয়েছে মাহির সঙ্গে শাওনের পরিচয় স্কুল জীবন থেকে। তারা উত্তরায় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছেন। মাহির সঙ্গে তার প্রেম ছিল বলেও দাবি করছেন শাওন। তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে দাবি করলেও সে বিষয়ে কোনো প্রমাণাদি বা কাগজ দেখাতে পারেননি শাওন।

ডিবি সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ২৫ মে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার ব্যবসায়ি পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে মাহির বিয়ে হয়। এরপর থেকে ওই যুবক ক্ষুব্ধ হন। তিনি মাহিকে স্ত্রী দাবি করে তার সঙ্গে তোলা অন্তরঙ্গ ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর মাহি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

লিখিত অভিযোগে মাহি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি আপলোড করে তাকে শাওন হুমকি দিচ্ছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে শাওনকে গ্রেফতার করে দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।



এলএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।