আসিফের স্মৃতিতে হুমায়ুন ফরীদি
কিংবদন্তি অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিন আজ। ফরীদির জন্ম ২৯ মে, ১৯৫২ সালে। বেঁচে থাকলে অভিনয়ের এই জাদুকর ৬৪ বছরে পা রাখতেন। চোখের দেখাতে তিনি না থাকলেও অভিনয়ের আঙিনায় এখনো তিনি প্রিয় মানুষ, প্রিয় আদর্শ, প্রিয় বন্ধু।
তার অকাল মৃত্যুর খেসারৎ দিচ্ছে গোটা বাংলাদেশের শোবিজ তথা চলচ্চিত্র। নায়ক-নায়িকা-নির্মাতা-গায়ক-গায়িকা সবার মনেই আক্ষেপ- এত তাড়াতাড়ি কেন চলে গেলেন ফরীদি ভাই!
অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদির জন্মদিনে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফ্যান পেজে রোববার (২৯ মে) দুপুরে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি ফরীদিকে নিয়ে অনেক স্মৃতিচারণ করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘পৃথিবীতে মানুষ কত প্রকারের হতে পারে! এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। হুমায়ুন ফরীদিকে (প্রিয় ফরীদি ভাই) টিভিতে দেখেই বড় হয়েছি। উনার অভিনয় ক্ষমতা নিয়ে আমি অর্বাচীনের মতামত দিতে চাইনা। তিনি সমস্ত তুলনার বাইরে ছিলেন একজন অন্তঃপ্রান মজার মানুষ। সিরিয়াস ব্যাপার নিয়ে মজা করতেন, মজার ব্যাপার নিয়ে সিরিয়াস হয়ে যেতেন। এধরনের আচরণের যোগফলই ছিলেন ফরীদি ভাই।’
আসিফ লিখেছেন, ‘তিনি অসম্ভব ক্রিকেট প্রেমী ছিলেন। আমরা একসাথে অনেক খেলা দেখেছি। ওই সময় বক্সে আমার দশটা টিকিট বুকিং দেয়া থাকতো। ওই টিকিট আমি হাতে পাওয়ার আগেই তিনি তিনটা টিকিট রেখে দিতেন। তারপর আমাকে ফোন দিয়ে বলতেন- শোনো আসিফ, ওই টিকিট সব ঠিক আছে, কাল মাঠে চলে এসো। কথাটা এমনভাবে বলতেন- আমি বুঝতেই পারতাম না আমার টিকিট উনার হাতে। শারজাহতে একবার প্রমোটরের উপর প্রচন্ড রেগে গেছি, সিনিয়র জুনিয়র সবাই আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন। ফরীদি ভাই এসে সাইডে ডেকে নিয়ে বললেন- ছোট ভাই আমার কাছে এক হাজার ডলার আছে নগদ, তুমি গিয়ে শপিং করো। একটু পরে কিন্তু এই ডলার থাকবেনা, নাও। আমি ডলার নেইনি, কিন্তু উনার কৌশলটাই ধরতে পারলাম না, ঠান্ডা হয়ে গেলাম।’
আসিফ আরো লিখেছেন, ‘টুকরো টুকরো অসংখ্য স্মৃতি আছে ফরীদি ভাইয়ের সাথে। মাঠে স্কোর বোর্ড থাকা সত্ত্বেও তিনি স্কোরিং করতেন বক্সে বসে বসে। অদ্ভূত এক মানুষ ছিলেন তিনি। শুভ জন্মদিন ফরীদি ভাই।’
এনই/এলএ/আরআইপি