কৃষ্ণপক্ষ দেখে মাহির প্রেমে পড়েছিলেন অপু


প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ২৬ মে ২০১৬

হঠাৎ করে সিলেটের সন্তান পারভেজ মাহমুদ অপুকে বুধবার দুপুরে বিয়ে করেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। মাহির বিয়ের খবর ছড়ানোর পর থেকে দেশের সব গণমাধ্যম ফলাও করে সংবাদ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার রাজধানীর উত্তরার এক রেস্তোরাঁয় স্বামী অপুকে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন লাস্যময়ী এই নায়িকা।

জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে মাহির সঙ্গে পরিচয় নিয়ে মুখ খোলেন অপু। তিনি বলেন, মাহিকে প্রথম দেখি প্রায় বছর তিনেক আগে। সেসময় সে একটি ছবির শুটিংয়ে সিলেট গিয়েছিল। আর তখনই তাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগে। তবে সেটা `লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট` ছিল না। এরপর মাহির এক বন্ধুর মাধ্যমে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। তারপর থেকে খুব কম কথা হতো আমাদের মধ্যে। যেমন-হাই/হ্যালো! তবে দিনে দিনে আমাদের মধ্যে একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকেই মাহির সরলতা এবং চঞ্চলতা আমাকে মুগ্ধ করে।



তবে মাহির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হলেও তার অভিনীত সবগুলো ছবি দেখা হয়নি অপুর। অপু বলেন, মাহির অগ্নি-২ ছবিটা দেখেছি এবং সর্বশেষ হুমায়ূন আহমেদ স্যারের উপন্যাস অবলম্বনে কৃষ্ণপক্ষ ছবিটি দেখেছি। অগ্নি-২ ছিল অ্যাকশন ছবি। মাহি ভালো অভিনয় করলেও সত্যি কথা বলতে আমার কাছে পুরো ছবিটা অতটা ভালো লাগেনি। তবে কৃষ্ণপক্ষে মাহির অভিনয় দেখে মনে মনে তার প্রেমে পড়ে যাই!

এরপর একটু একটু করে সেই প্রেম মনের মধ্যে পুষে রাখেন অপু। আর সেই প্রেম রূপ নেয় বিয়েতে। মাহি-অপুর বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয় গেল সপ্তাহে। তবে এটা সীমাবদ্ধ ছিল তাদের পরিবারের মধ্যেই। ঘুণাক্ষরেও বাইরের কেউ জানতে পারেনি তাদের বিয়ের কথা।

অপু যেমনটা বললেন, আমি প্রথমে আমার পরিবারকে জানাই। তারপর আমার পরিবার মাহির মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর দুই পরিবারের অভিভাবকরা আমাদের দুজনের সম্মতি নিয়েই বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের সব কথাবার্তা চূড়ান্ত হওয়ার পর তাকে আমি ফেসবুকে চ্যাটিং এর মাধ্যমে `আই লাভ ইউ মাহি` লিখে একটা টেক্সট পাঠাই। কিছুক্ষণপর মাহি মৌন সম্মতি জানিয়ে হাসির ইমো পাঠিয়ে আমাকে রিপ্লাই দেয়।

Mahi-wedding

এনই/এইচএন/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।