একা চলতে পারছেন না ফরিদা, যা জানালেন স্বামী

শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। সেসময় নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয় তাকে। তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে বল জানা গেছে। শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) হাসপাতাল থেকে তাকে বাসায় নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন তার স্বামী যন্ত্রসংগীতশিল্পী গাজী আবদুল হাকিম।
লালন-সম্রাজ্ঞী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে গাজী আবদুল হাকিম জাগো নিউজকে বলেন, ‘তাকে (ফরিদা পারভীন) শুক্রবার রাতে বাসায় নিয়ে এসেছি। এখন বেশ সুস্থ। তবে একা চলাফেরা করতে পারছে না। ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। স্বাভাবিক খাবার-দাবার খেতে পারছে। ডাক্তার বলেছেন পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে।’
হাসপাতালে ভর্তির করার পর জানা যায়, ফরিদার ফুসফুসে পানি জমেছিল। এ ছাড়াও তার শারীরিক নানান জটিলতা ছিল। তার বর্তমান অবস্থা জানিয়ে গাজী আবদুল হাকিম বলেন, ‘এক সপ্তাহ পর ফরিদাকে আবারও হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। শারীরিক অবস্থা দেখে চিকিৎসকরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।’
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তীব্র শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন ফরিদা পারভীন। তাৎক্ষণিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। তার ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যার কথাও চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। সেখানে একজন বক্ষব্যাধি, কিডনি এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ছিলেন শিল্পী ফরিদা পারভীন।
ফরিদা পারভীন ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত পরিবেশন শুরু করেন। তবে তিনি দেশের গান গেয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৮৭ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী।
এমএমএফ/এএসএম/আরএমডি