যেভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলেন অভিনেত্রী
হলিউডের সুপারস্টার গাল গ্যাদত। ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে তিনি বিশ্বজুড়ে আলাদা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি তার গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কে রক্ত জমা হয়ে জরুরি অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
গত রবিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে ‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’খ্যাত অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তার গর্ভাবস্থার অষ্টম মাসে মস্তিষ্কে বড় আকারের একটি রক্ত জমাট ধরা পড়েছিল। সেটি তাকে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়ে মস্তিষ্কে জরুরি অপারেশন করতে হয়েছিল।
গাল গ্যাদত লিখেছেন, ‘সপ্তাহখানেক ধরে অসহনীয় মাথাব্যথায় বিছানায় পড়েছিলাম। তারপর এমআরআই করানোর পর ভীতিকর সত্য জানা যায়। এক মুহূর্তে আমার পরিবার ও আমি বুঝতে পারলাম যে জীবন কতটা নাজুক। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে সবকিছু খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। আর আমি শুধু বাঁচতে চাইছিলাম।’
তারপর গ্যাদতকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখানে জন্ম নেয় তার কন্যা ওরি। গ্যাদত বলেন, ‘তার নামের অর্থ ‘আমার আলো’। অস্ত্রোপচারের আগে আমি জেরনকে বলেছিলাম, আমাদের মেয়ে যখন পৃথিবীতে আসবে, সে হবে সেই আলো, যা আমাকে বারবার মুগ্ধ করবে।’
অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর গ্যাদত ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিডারস-সিনাই হাসপাতালের ডাক্তারদের, যারা তার সুস্থতায় সাহায্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেছে এবং এখন পুরোপুরি সুস্থ। জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ আমি।’
গ্যাদত তার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যেন কেউ যদি একই ধরনের পরিস্থিতিতে পড়েন তারা সচেতন হতে পারেন। তিনি জানান, গর্ভাবস্থায় মস্তিষ্কে রক্ত জমা হওয়া একটি বিরল ঘটনা। প্রতি ১ লাখ গর্ভবতী মহিলার মধ্যে ৩ জনের এই জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে সচেতন থাকতে হবে। যদি সময়মতো শনাক্ত করা যায় তবে এটি চিকিৎসাযোগ্য।’
গাল গ্যাদত তার স্বামী জেরন ভারসানোর সঙ্গে চারটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।
আসছে বছর ডিজনির লাইভ-অ্যাকশন ‘স্নো হোয়াইট’ সিনেমায় ইভিল কুইন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাকে।
এলআইএ/জেআইএম