বয়স বেড়ে যাওয়ায় যা বললেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
হলিউডের নন্দিত অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। পর্দায় তার উপস্থিতি কয়েক দশক ধরে দর্শককে মাতিয়ে রেখেছে। বৈচিত্রময় সব চরিত্রে কাজ করে তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্ব চলচ্চিত্রের অনন্য এক তারকা। প্রায় ৫০ এর কোটায় তার বয়স। তবু গ্ল্যামার কিংবা অভিনয়ের মুন্সিয়ানায় পাল্লা দিতে পারেন নতুন প্রজন্মের অভিনেত্রীদের সঙ্গেও।
তাই বয়স কত হলো সে নিয়ে কোনো চিন্তা করেন না কখনো। ক্যারিয়ারেও বয়স হয়ে যাওয়ার কোনো প্রভাব পড়ে না বলে জানান তিনি। বরং মনে করেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার কাজ আরও উন্নত হয়েছে।
‘আমি বয়স বাড়ার সাথে সাথে আরও ভালো কাজ পেয়েছি’- এক সাক্ষাৎকারে জোলি এমনটাই বললেন। ৪৯ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বলেন, বয়স তার জন্য দুশ্চিন্তার কিছু নয় বরং জীবন ও অভিজ্ঞতার সাথে সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
জোলি অপেরা গায়িকা মারিয়া ক্যালাসের প্রতি তার শ্রদ্ধার কথা জানান। মারিয়া বয়স বৃদ্ধির ভয় জয় করে অভিনয়ে তার প্রতিশ্রুতি বজায় রেখেছিলেন।
বর্তমানে জোলি নেটফ্লিক্সের ‘মারিয়া’ চলচ্চিত্রে ক্যালাসের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রশংসা পাচ্ছেন। পাবলো লারাইন পরিচালিত এই ছবিতে ক্যালাসের শেষ দিনগুলোতে প্যারিসে তার জীবনযাত্রা এবং পরিচয় নিয়ে সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। বাস্তবে ক্যালাস ১৯৭৭ সালে ৫৩ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
জোলি বলেন, ‘মারিয়া দুর্বল, কারণ তিনি অনুভূতিপ্রবণ মানুষ। যাদের অনুভূতি অনেক সক্রিয় তারা সুন্দর হৃদয়ের অধিকারী হয়। আবেগের প্রতি দুর্বল হয়। তাই মারিয়াও নিজেকে একাকীত্বের আবেগ থেকে রক্ষা করতে পারেন না। তার চরিত্রটি আমি খুবই উপভোগ করেছি।
পাবলো লারাইন পরিচালিত ‘মারিয়া’ হচ্ছে তিনটি চলচ্চিত্রের একটি। যেখানে এর আগে তিনি প্রিন্সেস ডায়ানাকে নিয়ে ‘স্পেন্সার’ এবং জ্যাকলিন কেনেডিকে নিয়ে ‘জ্যাকি’ পরিচালনা করেছেন। ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ‘মারিয়া’ ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছিল। সেখানে ছবিটি ১০ মিনিটের জন্য স্ট্যান্ডিং অভেশন পেয়েছিল। জোলির অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে।
ছবিটি বর্তমানে নির্বাচিত সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং ৬ ডিসেম্বর থেকে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে।
এলএ/এমএস