ট্রাম্পকে নিয়ে ভীত হলিউড তারকারা, বিপদে অভিনেতা
রোমানীয়-মার্কিন অভিনেতা সেবাস্টিয়ান স্ট্যান। মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সে বাকী বার্নস চরিত্রে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন। ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ নামক একটি বায়োপিক ছবিতে কাজ করছেন তিনি। এ ছবিতে অভিনেতাকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুবক অবস্থার চরিত্রে দেখা যাবে।
১৯৭০ এর দশকে আইনজীবী রয় কোহনের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে কাজের জন্য স্ট্যান অনেক বেশি নজর কেড়েছেন।
তবে বায়োপিকটি নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন স্ট্যান। তিনি দাবি করেছেন, হলিউডের অনেক তারকারা ট্রাম্পকে নিয়ে ভীত। ‘দ্য অ্যাপ্রেন্টিস’ সিনেমাটি নিয়েও আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন ইন্ডাস্ট্রির মানুষেরা। তারা কেউ এটি নিয়ে কথা বলতে চান না।
স্ট্যান আরও দাবি করেন, ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের ‘অ্যাক্টরস অন অ্যাক্টরস’ সিরিজে বড় পুরস্কারের জন্য মনোনীত প্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পীরা একে অপরকে প্রশ্ন করেন। সেখানে এই ছবিটি নিয়ে স্ট্যানকে প্রশ্ন করবেন বা তার সাথে অংশ নেবেন এমন কাউকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, ‘আমি একজন অভিনেতাকে খুঁজে পাইনি যিনি আমার সঙ্গে এতে অংশ নেবেন। কারণ সবাই এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে ভীত।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আপনি জানেন, আমাকে অনেক বড় বড় কাজ করতে হয়েছে। কিন্তু এই ছবি প্রচারে যে অভিজ্ঞতা দেখছি এমনটা কখনো দেখিনি। সবাই ছবিটি নিয়ে নীরব হয়ে আছে। কেউ কথা বলতে চায় না।’
পিপল ম্যাগাজিনকে ভ্যারাইটি ম্যাগাজিনের সহ-সম্পাদক রামিন সেতুদেহও এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘সেবাস্টিয়ান স্ট্যান যা বলেছেন তা সঠিক। আমরা তাকে ‘অ্যাক্টরস অন অ্যাক্টরস’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। কিন্তু অন্যান্য অভিনেতারা তার সঙ্গে জুটি হতে চাননি। কারণ তারা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কিত সিনেমা বা কোনোকিছু নিয়ে কথা বলতে চাননি।’
স্ট্যান বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর চলচ্চিত্রশিল্পের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি ঘটবে। একটা অশুভ লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।’
তিনি হতাশার সুরে আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে শিল্পীরা স্বাভাবিক পরিস্থিতি হারিয়ে ফেলব। কারণ কোনো রকম ভীতি বা এই সিনেমা নিয়ে কথা বলতে অসুবিধা হবে- ভাবলে তো কাজ করার পরিবেশ থাকবে না। আমরা সত্যিই একটি বড় সমস্যায় পড়ব।’
তিনি ট্রাম্পকে রাজনৈতিক ময়দানে একজন প্রেসিডেন্ট এবং সিনেমার পর্দায় একটি চরিত্র হিসেবে গ্রহণ করার অনুরোধ করেছেন। শিল্পচর্চাকে যেন ভয়ের সংকটে পড়তে না হয় সেটাও প্রত্যাশা তার।
এলএ/জেআইএম