সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা জিতলেন জনি, পাবেন দেড় কোটি ডলার
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হলো। সাবেক স্ত্রী অ্যাম্বার হার্ডের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা জিতলেন 'পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান'খ্যাত অভিনেতা জনি ডেপ। এই খবরটি এরইমধ্যে বিশ্ব শোবিজে আলোড়ন তৈরি করেছে।
বিবিসিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, আদালতের জুরি সদস্যরা জানিয়েছেন, অ্যাম্বার গার্হস্থ্য হিংসার যে অভিযোগ জনির বিরুদ্ধে এনেছিলেন তা মিথ্যা এবং অবমাননাকর। অ্যাম্বারকে এজন্য দেড় কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পাশাপাশি জনির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনার পেছনে অ্যাম্বারের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল বলেও আদালত রায় দিয়েছে।
বিভিন্ন খবরে বলা হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে এখনও আপিল করার সুযোগ রয়েছে অ্যাম্বার হার্ডের। তবে তিনি আপিল করবেন কিনা বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।
২০১৮ সালে জনির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। এর পরেই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন জনি। অভিনেতা মিথ্যা বলছেন দাবি করে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। এই জোড়া মামলার শুনানিতে বিস্তর কাদা ছোড়াছুড়ি দেখছে আদালত।
উত্তাল ছিল দু’পক্ষের অনুরাগী মহলও। তবে জনির আইনজীবী অ্যাডাম ওয়াল্ডম্যান এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে অ্যাম্বারের আনা গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ ‘ধাপ্পাবাজি’ ছাড়া আর কিছু নয়।
এই বিবৃতিকেও অবমাননা বলে উল্লেখ করে জনির আইনজীবীকেও প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিন দিন ধরে সাত সদস্যের জুরি প্রায় ১৩ ঘণ্টার উপর আলোচনা করার পর এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে ‘দ্য রাম ডায়রি’ চলচ্চিত্রে সহশিল্পীর অভিনয়কালে জনি ডেপের প্রেমে পড়েন অ্যাম্বার হার্ড। ৩০ বছরের অ্যাম্বার ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন ৫২ বছরের জনি ডেপকে। কিন্তু ১৫ মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন হার্ড। টেক্সাসের এই অভিনেত্রী ‘অপরিবর্তনশীল মতবিরোধকে’ কারণ দেখিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের সুপিরিয়র কোর্টে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেন।
২০১৬ সালের মে মাসে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের আবেদন করেন হলিউড তরকা দম্পতি জনি ডেপ ও আম্বার হার্ড। এর প্রায় দুই বছর পর ওয়াশিংটন পোস্ট–এ একটি উপসম্পাদকীয় লেখেন আম্বার হার্ড। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, জনি তাকে শারীরিক, মানসিক ও মৌখিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অবশ্য ডেপ সেসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পরে সাবেক স্ত্রীর নামে ৫০ মিলিয়ন ডলারের মানহানির মামলা করেন জনি। হার্ডও উল্টো ১০০ মিলিয়ন ডলার মানহানির মামলা করেন জনির বিরুদ্ধে। সেই মামলারই শেষ হতে যাচ্ছে এবার।
এলএ/এএসএম