টাকার অভাবে স্কুল থেকে বাদ পড়া পেরি আজ শীর্ষ ধনী তারকা
টাইলার পেরি একজন আমেরিকান অভিনেতা, লেখক, প্রযোজক এবং পরিচালক। জনপ্রিয় বয়স্ক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা মাদিয়া চরিত্রটি তৈরি করার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এই সিরিজগুলোতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। নিউ অরলিন্সের একটি দরিদ্র ঘরে বেড়ে ওঠা পেরি আজ শীর্ষ ধনী তারকাদের একজন।
বর্তমানের রঙিন জীবনটার মতো অতীতে সবকিছু এত সুন্দর ছিলো না পেরির। শৈশব ও কৈশোরে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক কষ্টের পথ। সেই গল্প সম্প্রতি উঠে এসেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে।
সেখান এই তারকার জীবনের গল্পে বলা হয়েছে, পেরিকে শৈশবে নানারকম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। হাইস্কুল ছাড়তে হয়েছিলো তাকে টাকার অভাবে। এক পর্যায়ে ঘরবাড়িও ছাড়তে হয় তাকে। তবে তার নাট্যকার হিসেবে লড়াইটাও শুরু ঠিক সেই সময়ই।
সম্প্রতি সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পেরি বলেন, ‘কেউ যখন বলে তুমি খুব অসহায় অবস্থা থেকে শুরু করেছিলে তখন আমার শুনতে খুবই দারুণ লাগে। কিন্তু সেইসব দিনগুলোর কথা ভাবলে কষ্ট হয় খুব। আমি অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে আজকের এই জায়গায় এসেছি। আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে নাটক।
প্রথম আফ্রিকান আমেরিকান হয়ে স্বাধীনভাবে একটি স্টুডিওর মালিক হতে পেরে আমি খুবই উচ্ছ্বাসিত ছিলাম। এই মালিকানা আমার জীবনের সব কিছু বদলে দিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমার ব্যাংক একাউন্ট। যা এখন সত্যি অনেক ভালো। অনেকের চেয়ে অনেক ভালো।’
সম্প্রতি ফোর্বস তার বিলিওনিয়ারদের তালিকায় পেরিকে যুক্ত করেছে। তার আয় সম্পর্কে বলা হয়েছে যে তিনি ২০০৫ সাল থেকে ১.৪ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি আয় করেছেন।
ফোর্বসের মতে, পেরি ২০১৫ সালে আটলান্টায় স্টুডিওর জায়গার জন্য ৩০ মিলিয়ন ডলার এবং সেখানে স্টুডিও অপারেশন তৈরিতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছেন।
টাকার অভাবে হাইস্কুল থেকে ছিটকে যাওয়া ৫০ বছর বয়সী অভিনেতা পেরি বিলিওনিয়ার হয়েছেন তার নিজের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কারণে। একজন কৃষ্ণাঙ্গ হওয়া সত্ত্বেও তার এই লড়াকু জীবন সত্যিই প্রশংসিত। যা আজ সারাবিশ্বের মানুষের কাছে প্রেরণার। হতাশা থেকে নিজেকে বের করে সফল হয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শক্তির উৎসও।
এলএ/জেআইএম