কেরালা বন্যার ভয়াবহতা কি মনে পড়ে

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৮ এএম, ২৩ আগস্ট ২০২৪

২০১৮ সালে ভারতের কেরালায় হয়েছিল ভয়াবহ বন্যা। সেই বন্যার কথা কি মনে পড়ে? ওই ঘটনার ওপর নির্মিত হয় একটি সিনেমা, যেটি আজও অনেকে ভোলেননি। ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতিতে আজ অনেকেরই মনে পড়ে গেছে কেরালার ওই দিনগুলোর কথা।

‘২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো’ দেখে অঝোরে কেঁদেছিলেন কেউ। কেউ কেউ হয়ে পড়েছিলেন বাকরুদ্ধ। ২০২৩ সালের ৫ মে মুক্তি পায় দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমাটি। নির্মাণ করেছেন জুড অ্যান্থনি জোসেফ। সিনেমায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় মানুষের প্রতি মানুষের অপরিসীম ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ দেখা গেছে সিনেমায়। বাস্তবেও নিশ্চয়ই তেমনটি হয়েছিল। নির্মাণে অসামান্য দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন নির্মাতা, সে কথা লেখার অপেক্ষা রাখে না। মুক্তির এক মাসের মধ্যে ২০০ কোটি রুপি আয় করেছিল ছবিটি। পরে সেটি ওটিটিতে মুক্তি পায়।

কেরালা বন্যার ভয়াবহতা কি মনে পড়ে

আরও পড়ুন:

ছবিটি নির্মাণের জন্য কেরালার সেই বন্যা পরিস্থিতির মতো সেট বানানো হয়েছিল। দৃশ্যায়নে কম্পিউটারের সাহায্য তেমন নেওয়া হয়নি। পরিচালক চেয়েছিলেন কৃত্রিম নয়, সত্যিকারের দৃশ্য ধারণ করবেন। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কুঞ্চাকো বোবন, টোভিনো টমাস, আসিফ আলী, নারাইন, লাল, বিনীত শ্রীনিবাসন প্রমুখ।

‘২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো’ নিয়ে জুড অ্যান্থনি জোসেফ এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘উন্নতমানের গ্র্যাফিক্স ব্যবহার করে বন্যা দেখাতে গেলে খরচ বেড়ে যেত। দক্ষিণী সিনেমার সেই সামর্থ্য এখনো তৈরি হয়নি। তাই এতে আমরা সত্যিকারের পানি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিই। এর অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পানিতেই নামানো হয়েছিল। ২০২২ সালের আগস্টে আলুভা নদী যখন ফুসে উঠেছিল, সেই সময় বন্যার দৃশ্যগুলো ধারণ করা হয়। অন্যদিকে এয়ার লিফটের দৃশ্য ৮ রাত ধরে ধারণ করা হয়।’

কেরালা বন্যার ভয়াবহতা কি মনে পড়ে

সিনেমার সেট, ঘরবাড়িসহ সবকিছু পুরোনো দিনের শুটিংয়ের মতোই তৈরি করা হয়েছিল। সিনেমাটি বানাতে ২৫ একর জমির প্রয়োজন হয়েছিল। সিনেমার জন্য বেশ কয়েকজন শিল্পনির্দেশকের কাছে গিয়েছিলেন নির্মাতা। শেষ পর্যন্ত রাজি হয়েছিলেন মোহনদাস। এ প্রসঙ্গে মোহনদাস বলেন, ‘সিনেমাটির জন্য ‌ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে বাঁধ, সবকিছু তৈরি করা হয়েছিল। বন্যার জন্য দুই একর জমিতে একটি পুকুর খনন করা হয়েছিল।’

সিনেমাটি নির্মাণের জন্য পুরো টিমকে ভীষণ পরিশ্রম করতে হয়েছে। তৈরি করতে হয়েছে ১৪টি বাড়ি। এ ছাড়া বিদ্যুতের খাম্বা, গাছপালা ও অন্যান্য অনুষঙ্গ পানিরোধী উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। সিনেমার এয়ার লিফট দৃশ্যটির জন্য হেলিকপ্টারও তৈরি করা হয়েছিল। হেলিকপ্টার বানাতে ব্যয় হয়েছিল ১৪ লাখ রুপি। ‘‌২০১৮: এভরিওয়ান ইজ আ হিরো’ সিনেমাটি নির্মাণ করতে সব মিলিয়ে ব্যয় হয়েছিল ৩০ কোটি রুপি।

২০১৮ সালের আগস্টে ভারতের কেরালা রাজ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাতে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের ১৪টি জেলায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয় রাজ্যটির। এক শতাব্দীর মধ্যে সেটি ছিল কেরালার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বন্যা। সেসময় মারা যান ৪৮৩ জনের বেশি মানুষ, নিখোঁজ হন ১৪ জন। যোগাযোগবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার মানুষ।

এমএমএফ/আরএমডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।