অভিনয় ছাড়ার পর কিষানি

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ১৪ আগস্ট ২০২৪

অনেক দিন হিন্দি ছবিতে সুযোগ পাননি ম্রুণাল ঠাকুর। দক্ষিণ ভারতীয় এই অভিনেত্রীকে হঠাৎ পাওয়া গেল ২০২২ সালে তেলেগু ‘সীতা রামম’ ছবিতে। তেলেগু ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করলেন তিনি। ছবিটি সাফল্য পেয়েছিল তা তো সবারই জানা। পরে অবশ্য বলিউডে আর দেখাই গেল না এই অভিনেত্রীকে। এখন হয়তো তিনি ভাবছেন, সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দিলে কৃষি কাজে মন দেবেন। অভিনেত্রী থেকে হয়ে যাবে কিষানি।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্ট দেখে বোঝা গেল, গাছপালার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন তিনি। ছবিতে তাকে দেখা গেছে একটি খামারে। সেখানে থেকে কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন এই অভিনেত্রী। সময়টার অনুভূতি প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এ রকম জায়গায় গেলে তার শৈশবে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে, সঙ্গে হ্যাশট্যাগ জুড়েছেন, ফিউচার ফার্মিং।

এই পোস্ট দেখার পর থেকে ভক্তরা আলোচনা শুরু করেছেন, তবে কি ভবিষ্যতে অভিনয় ছেড়ে কৃষিকাজ করবেন অভিনেত্রী? এসব নিয়ে অবশ্য আগেই কথা বলেছিলেন ম্রুণাল ঠাকুর। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, কৃষিকাজে তার আগ্রহ অনেক। তিনি কিছু জমিতে বিনিয়োগ করতে চান।

বলিউডের সিনেমায় ম্রুণালের পিছিয়ে থাকার অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম, অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সক্রিয় না হওয়া। বিভিন্ন সময়ে সাক্ষাৎকারে এই অভিনেত্রী বলেছিলেন ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বস্তি হতো তার। এ কারণে কয়েকটি সিনেমার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল। এভাবে ধীরে ধীরে বলিউড থেকে কাজের প্রস্তাব কমতে থাকে তার। বলেছিলেন, মা-বাবা পর্দায় মেয়ের চুমু খাওয়ার দৃশ্য দেখতে পারবেন না, সেই চিন্তায় ওসব দৃশ্যের ছবিতে কাজ করেননি তিনি। পরে অবশ্য তিনি বুঝতে পারেন, এভাবে টিকতে পারবেন না। পরে আপোস করতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। এখন তিনি মনে করেন, একজন অভিনয়শিল্পীকে যেকোনও দৃশ্যের জন্যে প্রস্তুত থাকতে হয়।

ম্রুণালকে গত বছর দেখা গিয়েছিল ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’, তার আগে ‘জার্সি’ ছবিতে। সামনে তাকে দেখা যেতে পারে ‘পূজা মেরি জান’, ‘সন অব সর্দার ২’, এবং ‘হ্যায় জাওয়ানি তো ইশক হোনা হ্যায়’-এর মতো ছবিগুলোতে।

আরএমডি/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।