মানসিক যন্ত্রণা মুক্তিতে যা করলেন ক্যানসার আক্রান্ত হিনা

বিনোদন ডেস্ক
বিনোদন ডেস্ক বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫১ পিএম, ০২ আগস্ট ২০২৪
হিনা খান। ছবি: সংগৃহীত

ক্যানসার আক্রান্ত বলিউড তারকা হিনা খান প্রথম কেমো নেওয়ার পর তার চুল কেটে ফেলেছিলেন। সেই দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন হিনার মা। এবার নিজ হাতেই মাথা কামিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তিনি সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।

সম্প্রতি হিনা জানান, স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তার ক্যানসার তৃতীয় পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। এ মরণব্যাধীর সঙ্গে লড়াইয়ের বিভিন্ন বিষয় সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার সঙ্গে শেয়ার করেছেন হিনা। এর কারণ হচ্ছে যারা ক্যানসার আক্রান্ত হয়েছেন সেসব মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করা। তাই মাথা কামানোর ভিডিওটিও শেয়ার করেছেন হিনা। ক্যানসার আক্রন্তরা কেমো নেওয়ার পর তাদের চুল ঝরতে থাকে, যেটি খুব মনোকষ্টের ব্যাপার। তাই মাথার সব চুল কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হিনা খান।

আরও পড়ুন:

হিনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাথায় হাত দিলেই চুল উঠে যাচ্ছে তার। ঘরের মেঝেতে ও বালিশে হিনার চুল দেখা গেছে। এ মানসিক যন্ত্রণা অবসানে যেকোনো পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার বার্তা দিয়েছেন হিনা।

 
 
 
View this post on Instagram

A post shared by (@realhinakhan)

ভিডিওতে হিনা বলেন, ‘আমি আমার কাজ করতে চাই। সব সময় খুশি থাকতে চাই। এমনভাবে থাকতে চাই, যাতে এমন দুঃসময়ের যাত্রায় মানসিক যন্ত্রণা কমে যায়।’

মুঠো মুঠো চুল ঝরে যাওয়া বিষয়ে হিনা বলেছেন, ‘এই বিষয়টা সত্যিই খুব বেদনাদায়ক। আমি এ বিষণ্ণতার মধ্যে দিয়ে যেতে চাই না। তাই আমার আয়ত্তের মধ্যে যা আছে, সেটাই করতে হবে। আমি জানি, এ কাজ কতটা কঠিন। কিন্তু মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে নিজেকে রাখবেন না। তাই চুল সব ঝরে পড়ার আগে নিজেই কেটে ফেলুন। আমি সেটাই করতে চলেছি। মনে রাখবেন, আপনি সব সময় সুন্দর। সেটা কোনও ভাবেই বদলে যাবে না। বলা ভালো, আপনি আরও সুন্দর হয়ে উঠবেন। নিজের নতুন রূপকে ভালোবাসুন।’

হিনা আরও জানান, তিনি ন্যাড়া অবস্থায়ও একই রকম মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকবেন। মাঝে মাঝে হয়তো কাজের জন্য পরচুলা পরতে পারেন। তবে বেশির ভাগ সময়ই তিনি ন্যাড়া মাথাতেই সবার সামনে আসবেন।

এমএমএফ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।